প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজার শহরে পর্যটক ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক আবদুল্লাহ মিটুকে যুবলীগের কেউ নন বলে দাবি করেছেন কক্সবাজার জেলা যুবলীগ সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল। তারা এক বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকায় এখন সবাই আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী হিসেবে নিজেকে জাহির করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আবদুল্লাহ মিটু তেমনই একজন। সে দলের ওয়ার্ড কিংবা অন্যকোন কমিটিতে নেই। নিজের অপরাধকর্ম ঢাকতে নিজেকে যুবলীগ কিংবা অন্য সহযোগী সংগঠনের নেতা বা কর্মী হিসেবে অনেকে জাহির করে থাকলেও তা প্রতারণার সামিল।
তারা আরো বলেন, কেউ এভাবে অপরাধ করে ধরা পড়ার পর নিজেকে যুবলীগ বা অন্যকোন সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে দাবি করে থাকলেও প্রতিবেদন করার আগে গণমাধ্যমকর্মীদের উচিত ছিল সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড বা পৌর কমিটির কর্তা বা জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের বক্তব্য নেয়া। সেটি না করে একজন অপরাধীর দাবিকে সমর্থন দিয়ে তাকে যুবলীগ নেতা বলেই সংবাদ প্রচার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অপপ্রয়াসের সামিল। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যুবলীগ কোন অপরাধী লালন করে না। তাই ভবিষ্যতে কেউ অপরাধ করে ধরাপড়ার পর যুবলীগ বা অন্য সংগঠনের নেতাকর্মী বলে দাবি করলে সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অনুরোধ থাকলো।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে শহরের বাহারছড়া পাসপোর্ট অফিসের সামনে ঢাকার পর্যটক যুগলকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার মধ্য কলাতলীর হাসান মেম্বারের ছেলে আবদুল্লাহ মিটু (৩৩) ও একই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে মো. আসফি (২৩) কে জনতার সহায়তায় ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। এসময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মিটুর মালিকানাধীন মোটর সাইকেলটিও জব্দ করা হয়। আর আটকের পরই মিটু নিজেকে যুবলীগ নেতা বলে জাহির করে পুলিশকে। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হয়েছে।