সিবিএন ডেস্ক :

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্যকে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে তাদেরকে পূর্ণ দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের শুরুতে ফ্লোর নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় সভাপতির কাছে আবেদন করেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত, নেত্রী এ কথাটি কেমন শোনায়। আজ এ মঞ্চ থেকে তাদের পূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে ভারপ্রাপ্তের ভার মুক্ত করা যায় কিনা বিবেচনা করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সভাপতির বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের শেষে জয় এবং লেখককে ভারপ্রাপ্ত থেকে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেন।

এরমধ্য দিয়ে ৩ মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন তারা। আগামী সম্মেলন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন এই দুই নেতা।

নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। গত ১৫ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রেীয় কমিটির বৈঠকে সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

এরপর নানা সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সাদাসিধে জীবনাচরণ দেখিয়ে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নজর কাড়েন এই দুই নেতা। সব শেষ বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৩২ কেন্দ্রীয় নেতাকে বহিষ্কার করে নেতাকর্মীদের কাছে নিজেদের আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন তারা।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের অধিকাংশ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকলেও অপসারিত রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে মঞ্চে দেখা যায়নি।

তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সংগঠনটির সাবেক নেতাদের কাতারে মূল মঞ্চে বসেছেন গণফোরামের মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ডাকসু’র সাবেক ভিপি এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বাইরে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদে যান।