এসএম পাড়ায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মেয়র মুজিবুর রহমান

বার্তা পরিবেশক:

গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কক্সবাজার পৌর এলাকার সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। আর খুব কঠিন সত্বেও বিশাল এ মহতি উদ্যোগটি বাস্তবায়নে পৌর পরিষদকে সাথে নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) প্রকল্প ইউজিপি-থ্রি’র অধিনে পৌর এলাকার ১০টি বস্তির জীবন মানোন্নয়নে লক্ষ্যে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ৮ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৩.০৬ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। যদিও ৭টি পূর্তকাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক বরাদ্ধ এসেছে ২ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড এসএম পাড়ায় বস্তি উন্নয়নের কাজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে প্রকল্পটির সার্বিক কার্যক্রম শুভ সূচনা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান। এদিন শুধুমাত্র এসএম পাড়ায় ৯১১ মিটার ফুটপাত, ৯১১ মিটার ড্রেন, ৫টি টিউবওয়েল, ৫টি টয়লেট, ১০টি সোলার স্ট্রিট লাইট, একটি ডাস্টবিন এবং ১০০টি বৃক্ষরোপনসহ প্রকল্পটির জন্য প্রাথমিক বরাদ্ধ এসেছে ৮২ লাখ ৪৫ হাজার ২৯২.৩৭ টাকা। একইভাবে ৩নং ওয়ার্ডের কানাইয়ারপাড়া বস্তি উন্নয়নের জন্য ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার ০৬৬.৪৯ টাকা, ৪নং ওয়ার্ড পেশকারপাড়া বস্তি উন্নয়নে ৮২ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬.৭৬ টাকা, ৬নং ওয়ার্ড পল্যাইন্যাকাটা বস্তি উন্নয়নের জন্য ৭৯ লাখ ৮২ হাজার ৬১০.৯৯ টাকা, ৭নং ওয়ার্ড টেকনাফ পাহাড় আশুরঘোনা বস্তি উন্নয়নের জন্য ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার ২৪০.১৫ টাকা, একই ওয়ার্ডের অলিরঘোনা হালিমা পাড়া বস্তি উন্নয়নের জন্য ৮৩ লাখ ১১৫.০৪ টাকা, ৯নং ওয়ার্ড মৌলভী পাড়া বস্তির উন্নয়নে ৮৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৭.৯৬ টাকা, একই ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোনারপাড়া বস্তির উন্নয়নে ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩৪.৮৩ টাকা, ১২নং ওয়ার্ড ফাতেরঘোনা লাইট হাউজ পাড়া বস্তি উন্নয়নে ৮৩ লাখ ২০ হাজার ৩০০.৫৭ টাকা, একই ওয়ার্ডর আদর্শ গ্রাম বস্তি উন্নয়নে ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ২৬৮.৯০ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে।

পৌর এলাকার সচেতন জনসাধারণ বলছেন, স্ব-স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় মেয়র মুজিবুর রহমানের নেয়া এসব বস্তি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অনেক অবহেলিত এলাকা পাল্টে যাবে। বদলে যাবে অনুন্নত বস্তিগুলোর দুর্ভোগের চেহারা। তাই জনদুর্ভোগ লাগবে এমন সুন্দর উদ্যোগ গ্রহন করায় মেয়র মুজিবুর রহমানসহ পুরো পৌর পরিষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

অন্যদিকে বস্তি উন্নয়নের কাজগুলো যেন শতভাগ স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সাথে বাস্তবায়ন হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে খেয়াল রাখার আহবান জানিয়েছেন মেয়র মুজিবুর রহমান। বিশেষ করে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের প্রতি টেকসই কাজ আদায়ের উপর গুরুত্বারূপ করেন মেয়র।