চ্যানেল আই :
‘শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও দেশের গণতন্ত্র ও নেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজপথে সোচ্চার থাকবে ছাত্রদল’ এই স্লোগান নিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যতিক্রমভাবে পালন করেছে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের একাংশ।

ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাধারণত কেক কাটা, শোভাযাত্রা কিংবা ভিন্নধর্মী আনন্দঘন কর্মসূচি থাকলেও তাদের কর্মসূচিতে এবার ব্যতিক্রম ঘটেছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে গণস্বাক্ষর করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।

বুধবার জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ রাজিব আহমেদ রিংগনের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরে এক বিশাল মিছিল বের করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট অতিক্রম করে শায়েস্তানগরে দলীয় কার্যালয়ে সামনে শপথ গ্রহণ করে। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রক্তাক্ত গণস্বাক্ষার সংগ্রহ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন: জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সৈয়দ রুহুল আমিন জনি, মো. জসিম মাহমুদ, যুগ্ম-সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ, শাহ মুর্শেদ আলম, মো. মারুফ আহমেদ, মহসিন আলী মিশু, রাজিব আহমেদ হৃদয়, মনিরুল ইসলাম মনি, এ.কে বদরুদ্দোজা রানা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মাজহারুল ইসলাম রাব্বি, আরিফ খান জয়, আমিনুল ইসলাম বাব্বি, আরিফিন আবিদাল রিয়াদ, নরুল আমিন নাছিম, সোহাগ আহমেদ, শাহ ইমন আলী, বৃন্দাবন সরকারী কলেজ নেতা মো. জুয়েল আহমেদ, সাইফুল আলম, সদর থানা ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ পারবেজ, মাহিন আহমেদ শামিম, কামরুল হাসান, তরিকুল জামান রাজিব, জাবেদ মিয়া, টেনু মিয়া, মো. মোবারক, মোস্তাক আহমেদ, পৌর ছাত্রদল নেতা রাকিব আলম হাসান, সাইফুল ইসলাম, আবিদ আহমেদ, সোহাগ রহমান, সাইদুর রহমান জনি, জয়, রাজা, শাহ মাহি, কিবরিয়া প্রমুখ।এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন: ‘ভোটারবিহীন সরকার এদেশে গণতন্ত্রকে কন্ঠরোধ করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে দেশেকে ক্যাসিনো রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাবেক তিনবারের প্রানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে। তাই রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই। ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের শরীরের শেষ রক্তের বিনিময়ে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে ও আপোষহীন নেত্রী বেগম খালদা জিয়ার মুক্ত করা হবে।’