ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী:

বিয়ে করেছেন একে একে চারটি। নিজের ঘর পুরো সন্তান। বার বার অন্যের বউয়ের সাথে পরকীয়া করে ফুঁসলিয়ে নিয়ে এসে বিয়ে করা যেন তার স্বভাব। জীবনের অধিকাংশ সময় গেছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ও জেলখানায়। এবার রক্ষা হয়নি শেষ বারে। প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রীর ৪ সন্তানের জননীর সাথে পরকীয়া করে ফুঁসলিয়ে তুলে নেয়ার মাত্র ৪/৫ দিনের মাথায় পুলিশ তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে আবারও ঢুকিয়েছে জেলে।

এহেন নাটকীয় ঘটনায় যিনি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হলেন তার নাম সৈয়দ মিয়া (২৮)। সে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্বপূঁইছড়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের পুত্র।

পুলিশ গতকাল ৩০ ডিসেম্বর ভোররাতে অস্ত্র ও গুলিসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

মহেশখালী থানা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সৈয়দ মিয়াকে শুধুমাত্র অস্ত্র গুলিসহ গ্রেপ্তার করার সংবাদ জানানো হলেও তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে পিলে চমকানো এ ঘটনার। এলাকাবাসীরা জানান, সৈয়দ মিয়া ইতিপূর্বে বিয়ে করেছেন ৩টি। তৎমধ্যে পরকীয়া করে এক মাঝির বউকেও সে নিয়ে আসে। সর্বশেষ গত ৫/৬ দিন পূর্বে প্রতিবেশী হোয়ানকের পূর্ব জামাল পাড়া মরাঝিরি গ্রামের মৃত আজগর আলীর পুত্র রাজমিস্ত্রী রহমত উল্লাহ’র স্ত্রীর ৪ সন্তানের জননীর সাথে দীর্ঘ দিনের পরকীয়ার সুত্র ধরে ফুঁসলিয়ে তুলে নিয়ে আসে তার ঘরে। এ ঘটনায় মায়ের শোকে ২ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী কন্যা শিশুসহ ৪ সন্তানের ক্রন্দনে আকাশ বাতাস যেন ভারী হয়ে উঠছিল এলাকার। এর মাত্র ৫/৬ দিনের মাথায় মহেশখালী থানার এস,আই একেএম নুরুল হক হাওলাদার সঙ্গীয় ফোর্সসহ গতকাল ৩০ ডিসেম্বর ভোররাত ১টায় হোয়ানকের পূর্বপূঁইছড়া থেকে একটি দেশী তৈরী বন্দুক, ২টি কার্তুজ ও গুলি রাখার ব্যাগসহ তাকে গ্রেপ্তার করে।

মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, গ্রেফতারকৃত সৈয়দ মিয়া একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। সে ও তার ভাইদের ভয়ে এলাকার নিরীহ লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।