মোঃ নেজাম উদ্দিনঃ
রামু উপজেলার গর্জনিয়ার জুমছড়ি গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ এর খুঁটি দেখা গেলেও এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয় নি। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে খুঁটি দেখা গেলেও আজ অবধি বিদ্যুৎ লাইন দেয় নি।
বর্তমান সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে সরকারী কর্মকর্তারা তা বাস্তবায়নে গাফেলতি করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, প্রতিটি গ্রামে সঞ্চালন লাইন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে খুঁটি গত এক বছর ধরে। দেখা নেই বিদ্যুৎতের। এতে দীর্ঘ সময় ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের তিন গ্রামের হাজার খানেক পরিবার।
জুমছড়ি এলাকায় পাড়ার ২০০ টি, পূর্ব জুমছড়ি ১০০টি মরিচ্যাচর এলাকায় ১১০টি, মইন্নাকাটা এলাকার৯০ টি, বড়ুয়ারছড়া পাড়ার ৪৫ টি পরিবার এবং এলাকার বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিত রয়েছে। এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে শতাধিক শিক্ষার্থী।
মরিচ্যাচর এলাকার শাহাব মিয়া বলেন, বছর খানেক আগে আমাদের গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি এসেছে। কিন্তু এখনো আমরা সংযোগ পাইনি। কবে নাগাদ পাবো তা আদৌ আমাদে জানা নেই।
একই এলাকার মহিউদ্দিন জানান, পল্লী বিদ্যুৎতের খুঁটি বসানোর পর বেশ কিছু দালালচক্র বিদ্যুৎ সংযোগ আনিয়ে দেবে বলে প্রতিঘর থেকে মিটার প্রতি হিসাব করে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু এনিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস আদৌ কিছু জানে কিনা আমাদের জানা নেই ।
২নং ওয়ার্ড এর সদস্য এহসান উল্লাহ বলেন, এলাকায় ৫শতাধিক ঘর দুটি বাজার সহ পাড়ায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছে। সোলার প্যানেল থাকলেও তা দিয়ে ফ্যান চালানো যায় না। বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রামবাসি এখানো অন্ধকারে আছে। গত একবছর আগে খুঁটি বসানো হলেও সংযোগ দেয়া হয়নি।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার প্রতিঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া। সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার পর থেকে এই গ্রাম অন্ধকারে আছে।
তিনি বরেণ, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর এলাকায় মাননীয় সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল এর সহযোগিতায় বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎতায়ন হয়েছে। বাকি গ্রামে খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। শীগ্রই বিদ্যুৎ লাইন দেওয়া হবে বলে আমাকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস জানিয়েছেন ।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা বাস্তবায়নে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি যেসব গ্রামে এখনো বিদ্যুৎ লাইন যায়নি সেসব গ্রামে খুব দ্রুত সংযোগ প্রদান করা হবে এবং তাদের মিটার নেওয়ার জন্য আবেদন করতে বলা হবে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, সরকার শতভাগ বিদ্যুৎতায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যদি আমার উপজেলায় এমন থাকে তবে ঐ ইউনিয়নের চেয়াম্যান ও পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করব।
সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎতায়নে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ঘোষণা দেন। এসব পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা না পেলেও ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সিকদারপাড়া, টাইমবাজার, জাউসপাড়া থিমছড়ি, বড়বিলসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম বিদ্যুৎতের আওতায় আসায় রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়েনে এই বছর কয়েক হাজার সাধারন জনগন বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছেন।