প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে-জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরংঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্জন করে। বিজয়ের এই দিনটিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসাবে পালনের কর্মসূচী ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ বিকাল ৩.০০ টা শহীদ দৌলত ময়দানে বিজয় সমাবেশ ও বিজয় মিছিলের আয়োজন করে। জেলা আওযামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম, মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, নজিবুল ইসলাম, সোহেল আহমদ বাহাদুর, জহিরুল ইসলাম, ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী, ডাঃ পরিমল কান্তি দাশ, সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এম.এ. মনজুর। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মৌলভী নুরুল ইসলাম সরকার।

উপস্থিত ছিলেন-জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বদিউল আলম সিকদার, এড. ফরিদুল আলম, ইউনুচ বাঙ্গালী, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, আবু তাহের আজাদ, ড. নুরুল আবছার, মেয়র মকসুদ মিয়া, জি.এম. কাশেম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক সোহেল, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা চৌধুরী লুনা, শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক শফি উল্লাহ আনচারী, তাঁতী লীগ সভাপতি আরিফুল মাওলা, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ফরহাদ ইকবাল, টিপু সুলতান চেয়ারম্যান, আব্দু রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আসিফুল মওলা, নজমুল হোসাইন নাজিম, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, আতিক উল্লাহ কোম্পানী, এ.বি. ছিদ্দিক খোকন, মিজানুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, জানে আলম পুতু, মোঃ ইয়াহিয়া, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, দেলোয়ার হোসেন জানু, তাজ উদ্দিন, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, কমিশনার রুবেল, হাবীব উল্লাহ, জাফর আলম, দুলাল দাশ, খোরশেদ আলম রুবেল, জহিরুল কাদের, মিজবাহ উদ্দিন কবির, নজরুল ইসলাম, দীপক দাশ, জাফর আলম, নুরুল আলম পেঠান প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুন, দখলবাজ, ক্ষমতা দখল ও ভোট ডাকাতির রাজনীতি শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে এরশাদ, ৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়া। তারা বার বার গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট করেছিলেন। বর্তমানে তাদের রাজনৈতিক দল গুলো গণতন্ত্র রক্ষার নামে দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তারা দেশের ব্যাপক উন্নয়ন, অগ্রগতি, সুনাম, সু-খ্যাতি ধ্বংস তথা শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বি.এন.পি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে দেশের জনগণ কখনো ভুলবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে। জীবন যাত্রার মান উন্নত দেশের নাগরিকদের সমপর্যায়ে পৌচেছে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরংঙ্কুশ বিজয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি এদেশের মানুষের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। বিজয় সমাবেশ শেষে এক বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ দৌলত ময়দানে শেষ হয়।