নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের প্রথমবারের মত প্রতিষ্ঠিত প্রতিবন্ধিদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘অরুণোদয়ের’ পাশে দাঁড়ালো ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। প্রতিবছর অরুণোদয় নামের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধিদের কল্যাণে আড়াই লাখ টাকা থেকে তিন লাখ টাকা দেবে সংগঠনটি।

সোমবার বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অরুণোদয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, অরুণোদয় প্রতিষ্ঠা করে জেলা প্রশাসক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবন্ধি শিশুদের নিয়ে অভিভাবকেরা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবন্ধি শিশুরা মূলধারায় ফিরতে পারবে।

তিনি বলেন, অরুণোদয় জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করলেও এটি কক্সবাজারের সম্পদ। এর আগে কেউ প্রতিবন্ধিদের কথা চিন্তা করে এধরণের কোন প্রতিষ্ঠান করেননি। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়ানো। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে অরুণোদয়ের পাশে দাঁড়িয়েছি।
কক্সবাজার দায়রা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম বলেন, যার বাড়িতে প্রতিবন্ধি আছে তিনিই বুঝেন এই যন্ত্রণা কি। প্রতিবন্ধিদের জন্য কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠান করে জেলা প্রশাসক দৃষ্টান্ত করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে পাশে দাঁড়াতে।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, চেম্বার অব কমার্স সহ যারা অরুণোদয়ের পাশে দাঁড়াচ্ছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরাও চায় ভাল প্রতিষ্ঠান গুলোকে অরুণোদয়ের সাথে সম্পৃক্ত করতে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজারেরই সম্পদ।

তিনি আরও বলেন, অরুণোদয়কে আরও বড় পরিসরে করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ১২ কোটি টাকার একটি ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই অনুমোদন হবে। এটি অনুমোদন হলে অরুণোদয়ের অবকাঠামোসহ বড় কাজ গুলো সম্পন্ন করা যাবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, অরুণোদয় খুব শিগগিরই এমপিভুক্ত হবে। ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়াও কোন সময় যাতে এই প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক সংকটে পড়তে না হয় সেজন্য বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি (বিএমসি) ও এলআর ফান্ড থেকে ২০ শতাংশ টাকা অরুণোদয়ের তহবিলে জমা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই এটিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহজাহান, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড ফরিদুল আলম, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সৈকত এর সম্পাদক মাহবুর রহমান, ডেলি স্টার এর স্টাপ রিপোর্টার মোহাম্মদ আলী জিন্নাত, মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার, হোটেল সী-গাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম ইকবাল, কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাবেক পরিচালক উদয় সংকর পাল মিঠু, ব্রাক এর জেলা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, কোস্ট ট্রাস্ট এর কো-অর্ডিনেটর মিজানুর রহমান।

এছাড়াও আরও উপস্থিত কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রী’র পরিচালক আব্দুল খালেক, মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম হেলালী (আজিম), শফিকুর রহমান কোম্পানি, মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, মোঃ ইমদাদুল হক, মোহাম্মদ আবু হানিফ, আবিদ আহসান সাগর, শিবলুল করিম, এ.আর.এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাসেল, এইচ এম নুরুল আলম, আজমল হুদা, মোঃ রেজাউল করিম রেজা, সচিব নাসের মাহমুদ, অফিস সহকারী আব্দুল মালেক নাঈম।