কামাল হোসেন, রামু :

বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। সরকার নানাক্ষেত্রে উন্নয়নে অসামন্য অবদান রাখছে। এর মধ্যে শিক্ষাকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আকর্ষন সৃষ্টি করে রামুর শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে ‘স্বপ্নযাত্রা’ নামক এই বাসটি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাস্তব ভিত্তিক জ্ঞানের প্রসারতা বাড়াতে স্বপ্নযাত্রা অগ্রণী ভুমিকা রাখতে পারে। এই উদ্যোগ রামুকে শিক্ষার নগরী প্রতিষ্ঠায় বড় ধরণের ভুমিকা পালন করবে।

৩০ ডিসেম্বর(সোমবার) রামু খিজারী হাইস্কুলের মাঠে স্বপ্নযাত্রা নামক শিক্ষাবান্ধব বাসটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এ কথা বলেন।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বপ্নযাত্রা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা, দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি তোফায়েল আহমদ, রামু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌর চন্দ্র দে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি, রামু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হক, রামু থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান, রামু মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজারের রামুতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথম বাবের মতো উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বিনোদন নির্ভর শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ‘স্বপ্নযাত্রা’ বাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে ঘিরে রামুর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ছিল অন্যরকম উচ্ছ্বাস। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ছেন শিক্ষার্থীরা। রামুর শিক্ষার্থীদের নিয়ে কক্সবাজারের শিক্ষামূলক স্থান পরিদর্শন করবে স্বপ্নযাত্রা। সু এবং স্বশিক্ষিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বাসটির যাত্রা শুরু তাই এর নাম হয়েছে স্বপ্নযাত্রা। জানিয়েছেন এই মহতী উদ্যোগের স্বপ্নদ্রষ্টা ইউএনও প্রণয় চাকমা।

চলতি বছর মে মাসে প্রণয় চাকমা রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহন করে বেশ কিছু মহতী কাজের মধ্য দিয়ে একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন। তার চমকে নতুন একটি মাত্রা যুক্ত হলো স্বপ্নযাত্রা বাসটি। এটি তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।

কারা হবেন স্বপ্নযাত্রা’র যাত্রী? প্রশ্নের জবাবে ইউএনও প্রণয় চাকমা বলেন, প্রতি সপ্তাহে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি বুধবার ক্লাস পরিক্ষার মাধ্যমে প্রতি ক্লাস থেকে ৪ জন করে মোট ৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিক্ষামুলক স্থান পরিদর্শন করবে স্বপ্নযাত্রা। স্বপ্নযাত্রায় বিভিন্ন বিনোদনমূলক এবং শিক্ষামূলক চিত্র প্রদর্শন করা হবে। থাকবে আপ্যায়নের ব্যবস্থাও।

তিনি আরও জানান, এ উদ্যোগটি নিতে গিয়ে আমার কাছে মানসিক কোন প্রতিবন্ধকতা ছিল না। প্রতিবন্ধকতা ছিল শুধু অর্থের। প্রথমদিকে থেমে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্বপ্ন আমাকে তাড়া করেছিল। আবেগ যেখানে জড়িত, ক্লান্তি সেখানে অসার। এ স্বপ্ন রামুর স্বপ্ন, এ স্বপ্ন বাস্তবতা। এমন একটি মহতী উদ্যোগ মাথায় এলো কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমার জীবন থেকে নেওয়া। অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কিছু শুভাকাংখীদের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করে এ অর্থ সংগ্রহ করেছি।