ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। স্থানীয়দের বঞ্চিত করে কোন কাজ নয়, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বেলায় শতভাগ সততা নিশ্চিত করা দরকার।

রোহিঙ্গাদের কারণে ৪০ শতাংশ দিনমজুরের দৈনিক মজুরি ৫০ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর অন্তত ৬০০ জেলে পরিবার নাফ নদীতে মাছ ধরতে পারছে না। বন জঙ্গল উজাড় করে রোহিঙ্গাদের আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার অবকাঠামোর অবনতির ফলে ২০ শতাংশ যোগাযোগ ব্যয় বেড়েছে। আবাসন ব্যয় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ১০০ হেক্টর আবাদি জমি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। শিক্ষার হার কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। যেখানে প্রাথমিকে ৩৯.৪% ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪৬.৫%।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে শহরের একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স হলে জার্মান ভিত্তিক সংস্থা মাল্টিযার ইন্টারন্যাশনালের ‘এলাইনিং কমিউনিটিস অব কক্সবাজার ফর অপটিমাম রিলায়েন্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট-একর্ড’ প্রকল্পের পরিচিতি সভায় এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোস্ট ট্রাস্টের টিম লিডার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনে তাদের কর্মতৎপরতার বিষয়ে কথা বলেন। কর্মসূচি বাস্তবায়নে শরণার্থী প্রত্যাবাসনে কমিশন কার্যালয়ের অান্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।
মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ‘একর্ড’ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক তাহরিমা অাফরোজ টুম্পা। তিনি জানিয়েছেন, ‘এলাইনিং কমিউনিটিস অব কক্সবাজার ফর অপটিমাম রিলায়েন্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট-একর্ড প্রকল্পটি আগামী ৩ বছর উখিয়ার পালংখালী ও টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ১০০০ জনসংখ্যার জন্য কাজ করবে।
প্রকল্পটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো -টেকসই আয় বৃদ্ধি, নিজস্ব পারিবারিক উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে জনসংগঠন তৈরী, আত্মনির্ভরশীল সংগঠন তৈরী এবং দুর্যোগ মোকাবেলা প্রস্তুতির সক্ষমতা বৃদ্ধি।
জার্মান ভিত্তিক সংস্থা মাল্টিযার ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে ৩ কোটি ৮০ হাজার টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট।