এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৯ বাছাই প্রতিযোগিতায় কক্সবাজার জেলার আট উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন এবং বাছাই কমিটির সদস্য সচিব কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম তাকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মনোনীত করে ইতোমধ্যে তা অনুমোদন দিয়েছেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাছাই কমিটির অন্যতম সদস্য কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.আমিন আল পারভেজ। প্রসঙ্গত: ২০১২ সালেও চট্টগ্রাম বিভাগে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতি নিশ্চিতের আলোকে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছিলেন চৌকস শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার।

এদিকে চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার জেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী। অভিনন্দন জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চকরিয়া উপজেলার ১৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক, সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (এসএমসি) কমিটি এবং চকরিয়া প্রেসক্লাবের সকলস্তরের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনে যোগদানের পর বদলে গেছে শিক্ষাব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন। সরকার প্রধান শেখ হাসিনার সুদক্ষ নির্দেশনার আলোকে তাদের সফল নেতৃত্বে এবং সুচারু দক্ষতাগুনে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতি উন্নয়নে সারাদেশের সঙ্গে সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে। কক্সবাজার জেলার সুদক্ষ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম মহোদয়ের দায়িত্বশীল মনিটরিং ও নির্দেশে চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তারের বিরামহীন কর্মদক্ষতা, বিচক্ষনতা এবং সুদক্ষ মনিটরিংয়ের কারণে উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মানন্নোয়নে অভাবনীয় সাফল্য ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি সম্মাণিত শিক্ষকমন্ডলীদের মাঝে তৈরী হয়েছে শিক্ষার অগ্রগতি উন্নয়ন নিশ্চিতে কর্মদক্ষতা। যার ফলশ্রুতিতে চকরিয়া উপজেলার উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেমন শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ তৈরী হয়েছে, তেমনি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে লেখাপড়ার মানন্নোয়নের ক্ষেত্রে।

লেখাপড়ার মানন্নোয়নের পাশাপাশি চলতি অর্থবছর পরিকল্পিত উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে উপজেলার ১৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অন্তত ১২৮টি বিদ্যালয়ের। ইতোমধ্যে উন্নয়নের ছোয়ায় এসব বিদ্যালয়কে নতুনরূপে ঢেলে সাজানো হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সার্বিক সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তারের দিকনির্দেশনায় প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে স্মার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাস্তবে রূপ দেওয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা, দেখতে আকর্ষণীয়, ঝঁক-ঝঁকে ও সপ্ত-রঙে রঙিন করা হচ্ছে বিদ্যালয়গুলোকে।

বিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে আকাঁ হচ্ছে দেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিবর্গের ছবি, জাতীয়পাখি, জাতীয়ফল-ফুল, প্রাথমিকবাংলা ও ইংরেজীবর্ণমালা। বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের আশপাশ নিত্যকার থাকছে পরিচ্ছন্ন এবং পরিপাটি। শিক্ষার্থীরা যেন বিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট ও অনুপ্রাণিত হয় সেইজন্য করা হয়েছে সব ব্যবস্থা। পাশাপাশি ইউএনও শিবলী নোমানের সঠিক দিকনিদের্শনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তারের সার্বিক মনিটরিংয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছর অর্থবরাদ্দ নিশ্চিতের মাধ্যমে বিদ্যালয় গুলোকে পরিকল্পিত উন্নয়নে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বর্তমানে এসব বিদ্যালয়গুলোকে কচি-কাচা শিক্ষার্থীদের নিকট আকর্ষণীয় করতে বিদ্যালয় গুলোকে এক একটি করে সাজানো-গুছানো হয়েছে। উন্নত স্যানিটেশন সিস্টেম, উন্নতপরিবেশ, আকর্ষণীয় বিদ্যাঙ্গন ফুল, ফল এবং বৃক্ষরোপনে পরিবেশবান্ধব মনোরম করা হয়েছে।বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে কোন শিক্ষক অপরিচ্ছন্ন ও কুঁকড়ানো বস্ত্র পরিধান করে যেন বিদ্যালয় না আসে সেদিকে নজর রেখেছেন তিনি।

শিক্ষক সমাজ মনে করেন, চকরিয়া উপজেলার শিক্ষাখাতের এই ধরণের অগ্রগতি উন্নয়ন ও লেখাপড়ার মানন্নোয়ন এবং বিদ্যালয় সমুহে লেখাপড়ার সুন্দর পরিবেশ বির্নিমানে শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তারের কর্মদক্ষতা বিশ্লেষন করে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৯ বাছাই কমিটি জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তারকে নির্বাচিত করেছেন।