নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, বন্ধুত্বের বন্ধন সুদৃঢ় রেখে সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রজন্ম ৯৫ । শুধুমাত্র সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ সংগঠনটি সমাজের উন্নয়নের যে কাজ করছে এটি অনুকরণীয়।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রামু স্বপ্নপুরী কমিউনিটি সেন্টারে রামুর প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন প্রজন্ম’৯৫ শিক্ষা ট্রাষ্ট আয়োজিত প্রজন্ম ৯৫ মেধাবৃত্তি পরীক্ষার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ,ক্রেষ্ট ও বৃত্তি প্রদান ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এমপি কমল আরও বলেন,এসএসসি পাশের পর থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বন্ধুত্বের চর্চ্চা রামুতে প্রজন্ম ৯৫ একটি অনুকরণীয় নাম।প্রজন্ম ৯৫-এর মতো সমাজের সর্বস্থরের মানুষকে যার যার অবস্থান থেকে ভাল কাজ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন,শিল্প,সাহিত্য,ক্রীড়া এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি আমরা রামুকে শিক্ষার নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। সমুদ্র শহর এবং স্বাস্থ্যকর স্থান হিসাবে কক্সবাজার সারা বিশ্বে পরিচিত। সবকিছু বিবেচনায় কক্সবাজার এখন পর্যটকদের কাছে দার্জিলিং-এর মতো। পাশাপাশি রামুও এখন পর্যটকদের কাছে কম আকর্ষনের নয়।

প্রজন্ম’৯৫ এর সভাপতি ও ব্রিটিশ কাউন্সিল,বাংলাদেশ এর ডিরেক্টর (মানব সম্পদ) ফয়সল ওবাইদ রুমেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কক্সবাজার-এর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাং শাজাহান আলী, বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রজন্ম ৯৫ এর উপদেষ্ঠা বদিউল আলম পাভেল, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা,রামু উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এড. আবুল মনসুর, রামু সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. অাব্দুল হক, রামু সহকারী কমিশনার (ভূমি) চাইথোয়াহ্লা চৌধুরী, রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রজন্ম ৯৫ এর সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন, বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কিশোর বড়ুয়া প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডিএম মো. শাজাহান আলী বলেন, বর্তমানে দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে কিন্তু শিক্ষার মান নিয়ে আমাদের শংকা এখনো কাটছেনা। আমি বিশ্বাস করি, প্রজন্ম ৯৫-এর পরীক্ষা পদ্বতি সবাই অনুসরণ করলে দেশের শিক্ষার মান অনেকাংশে বাড়বে।

অনুষ্ঠানে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে রামু সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইজত উল্লাহ,রামু খিজারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সহিদুল্লাহ এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যালেন্টপুলে প্রথমস্থান অধিকারী রুমাইছা নূর বিনতে শরাফত বক্তব্য দেন।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রজন্ম ৯৫ বৃত্তি পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক মো. নজিবুল আলম।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুনীল বড়ুয়া ও রেজাউল আমিন মোরশেদ।

সবশেষে অতিথিবৃন্দ বৃত্তিপ্রাপ্ত ১১জন কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ,ক্রেষ্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রজন্ম ৯৫ পরিবারের দুইশতাধিক সদস্যসহ রামুর সুশীল সমাজ, ছাত্র-ছাত্রী,সাংবাদিক,সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব সর্বস্থরের লোকজন অংশ নেন।
উল্লেখ্য ২০১৪ সাল প্রজন্ম’৯৫ রামুর রামুর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রজন্ম’৯৫ শিক্ষা ট্রাস্ট এ বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে আসছে। ষষ্ঠবারের মতো এবারে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫৬ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে তিনজনকে ট্যালেন্টপুলে এবং ৮জনকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি দেওয়া হয়।