হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ

উপজেলা প্রশাসন টেকনাফকে ভিক্ষুকমুক্ত করণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকৃত ভিক্ষুক যাচাই-বাছাই করার লক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলা মিলনায়তনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাইফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী। সভায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবুল মনসুর, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মাওঃ আজিজ উদ্দিন, ইউপি সচিবগণসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ভিক্ষুকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় টেকনাফকে ভিক্ষুকমুক্ত করণে প্রকৃত ভিক্ষুক যাছাই-বাছাই করা হয়। সভা শেষে উপস্থিত ২৫০ জন ভিক্ষুকদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, ভিক্ষুক মুক্ত দেশ গড়তে সরকার তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। তারই সুত্রে ধরেই গত কয়েকদিন আগে একটি বৈঠকের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের স্বস্ব এলাকার ভিক্ষুককের তালিকায় দিতে বলা হয়। তালিকায় হাতে পাওয়ায় সেটি বাস্তাবায়নের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে টেকনাফ উপজেলায় কাজ চলছে। ইতি মধ্যে উপজেলার উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার তৈরী করা আড়াই শতাধিক ভিক্ষুককের তালিকা যাচাই-বাচাই চলছে। যাতে প্রকৃত ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করতে সহজ হয়। যার যার সামর্থ অনুসারে সরকার তাদের দোকান ঘর, ছাগল, হাঁস, মুরগি, দর্জি কাজ ও ব্যবসায়িক উপকরণ বিতরণ করবেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলি বলেন, ‘ভিক্ষাবৃত্তি অসম্মানজনক পেশা। তারা পরিবার-সমাজ ও দেশের সম্মান নষ্ট করছে। এর অবসান হওয়া উচিত। তাই সরকার ভিক্ষুক মুক্ত দেশ গড়ার প্রয়াসে তাদের পূর্বাসানের কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে টেকনাফকে ভিক্ষুকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা পাওয়ার পর জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ভিক্ষুক শনাক্ত করে একটি তালিকা করা হয়েছে। সেটি যাচাই-বাচাই শেষে তাদের দর্জির কাজসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তারা নিজেরাই কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। চাহিদা অনুযায়ী কাউকে সেলাই মেশিন, কাউকে হাস-মুরগি কিনে দেওয়াসহ মুদি দোকান করে দেওয়া হবে।’