সোয়েব সাঈদ, রামু:

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য ও রামু মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদ ২০১৯ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, কক্সবাজার-রামুতে রেকর্ড পরিমান উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে। যা এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। এমন উন্নয়ন দেশের কোথাও হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসিকে রেল লাইন, বিকেএসপি, সেনানিবাস, বাঁকখালী নদী ড্রেজিংসহ বেড়িবাঁধ, সুদৃশ্য মেরিন ড্রাইভ সড়ক, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, সমুদ্র গবেষনা কেন্দ্র, গ্রামীন জনপদে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ইদগাহকে থানা ঘোষনা করা হয়েছে। ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ শীঘ্্রই শুরু হবে। এছাড়া কক্সবাজার পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন, রামুতে মডেল পৌরসভা করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে দেশ দিয়েছেন, আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তি।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে রামুতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান শেষে সমাপনী বক্তব্যে এমপি কমল এসব কথা বলেন। এমপি কমল আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রামুতে এবারও ব্যাপক আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা সম্পন্ন হলো। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিচ্ছেন, জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রতিটি কল্যাণকামী মানুষকে তাই আওয়ামীলীগের পতাকাতলে সমবেত হয়ে জননত্রেী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে। রাজাকার-আলবদও ও তাদের বংশধরদের প্রতিহত করাই হবে এবারের বিজয় মেলার দৃপ্ত শপথ।

অনুষ্ঠানে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বিজয় মেলা সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের মহাসচিব ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। “মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙ্গালির হাজার বছরের পরাধীনতার প্রতিশোধ’ এ প্রতিপাদ্যে গত ১৪ ডিসেম্বর রামু স্টেডিয়ামে এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন রামু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক চেয়ারম্যান।

উল্লেখ্য বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও রামুর বিজয় মেলা ছিলো দেশের বৃহত্তম বিজয় মেলা। মেলা উপলক্ষ্যে রামু স্টেডিয়ামের সীমানা দেয়ালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ম্যুরাল অংকন, মেলার মাঠে বিজয় টাওয়ার, বিজয় মঞ্চ, ষ্টল নির্মাণ, প্রধান সড়কে অসংখ্য তোরণ নির্মাণ করা হয়। মেলায় প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে ছিলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা, জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের স্মৃতিচারণ, আবৃত্তি, নৃত্য, গান, নাটক। এবারও দেশী-বিদেশী পন্যের শতাধিক ষ্টল বসে এ বিজয় মেলায়। মেলার নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি বিজয়মেলা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে তিন শতাধিক নেতা-কর্মী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিলো। এছাড়া মেলার পুরো এলাকা সিসি ক্যামরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলো।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি ও মহাসচিব রিয়াজ উল আলম বিজয় মেলা সফল ও সার্থক করায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ি, সাংবাদিক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি সহ সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।