আমি একজন ছাত্রদলের অতি নগন্য  কর্মী ,  শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে দলের দুঃসময়ে পাশে আছি । তবে অত্যন্ত পরিতাপের সাথে না বলে পারছিনা , কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের একটি সিদ্ধান্ত দেখে আমার মত কক্সবাজারের জিয়ার সৈনিকরা বিস্মিত হয়েছি। মর্মাহত হয়েছি এহেন সংগঠনঘাতি সিদ্ধান্ত দেখে।
আমার বিগত রাজনীতি থেকে যতটূকু দেখেছি ছাত্রদলের দুজন কান্ডারী রিপন ভাই ও ফাহিম ভাই দলের জন্য নি:স্বার্থ ভাবে কাজ করে গেছেন।  দুজন জিয়ার সৈনিক কে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে আপনাদের লাভ টা কি?
দলের দুঃসময়ে শাহাদত রিপন ভাই সভাপতি ও  ফাহিমুর রহমান ভাই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন।
আমার জানামতে তারাঁ কোনেদিন ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি, টাকা দিয়ে পদ পদবী দেননি।
দিনরাত পরিশ্রম করা এই দুই নেতাকে নিয়ে পূর্বেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, বর্তমানেও করে যাচ্ছেন ।

এই কারা নির্যাতিত দুই ছাত্রনেতার তূলনা অন্যকারো দিয়ে হয়না। প্রতিটি মিছিলে, প্রতিটি প্রোগ্রামে ছাত্রদলের ভূমিকা ছিল অপরীসিম। তাই তাদের কাজে খুশি হয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি  শাহজাহান চৌধুরী ছাত্রদলকে ফাইভ স্টার নামকরণ করছিলেন। তাদের কর্মকান্ডে ছাত্ররা খুশি। কোন কোন্দল নেই ।

আমরা তাদের নিয়ে  গর্ব করি।  আন্দোলন সংগ্রামে আমরা তাদের  কাছে পেয়ে  আনন্দিত। কিন্তু হঠাৎ এত বেদনাদায়ক কথাটি সইবার ক্ষমতা আমার নেই।

কেন্দ্রকে বলি, আমরা ক্ষমতা পদ পদবী কিছুই চাইনা। আমরা চাই, বাকশালের কারাগার থেকে গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া মুক্তি পাক ও দেশে সুসাশন প্রতিষ্ঠিত হোক।

রিপন ফাহিমের কী দোষ এখনও তৃণমূল জানে না । কমিটি করাটাই যদি দোষ হয়ে থাকে কেন্দ্রকে জিজ্ঞেস করি , কমিটি বা সংগঠন না থাকলে আন্দোলন সংগ্রাম কি এমনি এমনি হবে? কক্সবাজারের রাজনীতি আপনারা ঢাকায় বসে বুঝবেন না । এ দু:সময়ে রিপন ফাহিমের বিকল্প নাই । কক্সবাজার জেলা শহীদ জিয়া , খালেদা জিয়া ও বিএনপির ঘাটি । এখানে বিএনপি পরিবারের সিদ্বান্তের বাইরে আপনাদের নিজস্ব কোন ব্যক্তিগত মত বা চয়েস থাকতে পারে না ।

সুতারাং বলতে চাচ্ছি , দুঃসময়ে কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্ত কক্সবাজার ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা মেনে নেবে না । অবিলম্বে তাদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করুন। দলের স্বাভাবিক কাজকর্ম , আন্দোলন সংগ্রাম চালাতে সাহায্য করুন। নতুবা কক্সবাজারে আপামর ছাত্র জনতার কাছে আপনারা  সংগঠনের শত্রু বলে চিহ্নিত হবেন।

 

ইমরান বিন আলী
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক

কক্সবাজার সিটি কলেজ