ডেস্ক নিউজ:
চার মাস আগেই পরীক্ষায় পাশ করে ফিফা রেফারি হওয়া নিশ্চিত হয়েছিল জয়া চাকমার। অপেক্ষা ছিল কেবল ফিফার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির। সেই স্বীকৃতিও পেয়ে গেছেন রাঙ্গামাটির যুবতী জয় চাকমা। দেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি হয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক এ খেলোয়াড়।

জয় চাকমার সঙ্গে সালমা ইসলাম মনিও ফিফা রেফারি হওয়ার পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। কিন্তু মনির বয়স ২৩ বছরের কম। তাই আগামী বছর আবার তাকে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে ২০২১ সালের জন্য।

জয়া চাকমা বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় জয়াসহ পাঁচজন নারী ফিফা রেফারি আছেন। দুই জন ভারতের রঞ্জিতা ও রুবা দেবি এবং একজন নেপালের অস্মিতা ও অন্যজন ভুটানের চুকিউম।

সাবেক এই নারী ফুটবলার কোচ হয়েছেন আগেই। এএফসি ‘বি’ লাইসেন্স করেছেন। এখন তার লক্ষ্য দেশের বাইরে গিয়ে কোচিংয়ের ওপর এএফসি ‘এ’ লাইসেন্স করা। বাফুফে সাবেক টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্যাট্রেজিক ডাইরেক্টর পল স্মলির অধীনেই তিনি বিদেশে এই লাইসেন্স করতে চান।

একাধারে কোচ ও রেফারি। দুটোকেই দারুণ উপভোগ করেন জয়া চাকমা। কোচ হিসেবে চাকরি করছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। ফিফা রেফারি হওয়ার জন্য গত ১০ বছর ধরে পরিশ্রম করছিলেন জয়া। অবশেষে তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এর আগে দুইবার পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারেননি জয়া।

‘ফিফা রেফারি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর আমার যে কি ভালো লাগছে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। টানা ১০ বছর ধরে দৌঁড়াচ্ছি। এর মধ্যে দুইবার পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারিনি। এবার আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এর চেয়ে ভালো খবর আমার জীবনে আর কি হতে পারে? আমার চেষ্টা থাকবে এটা ধরে রাখার। আগামী বছর ২০২১ সালের জন্য যে পরীক্ষা হবে তাতেও পাশ করতে চাই’-বলেন জয়া চাকমা।

আপনিতো কোচ। এখন হলেন ফিফা রেফারি। কোনটাকে বেশি উপভোগ করেন? ‘আসলে আমার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশের নারী ফুটবল উন্নয়নে কাজ করা। আমি ফুটবল খেলেছি। মাঠে পারফরম্যান্স করেছি। তাই মাঠের মধ্যে থাকতেই আমার বেশি ভালো লাগে। তাই রেফারিংয়ের প্রতি আমার আলাদা টান আছে’-বলছিলেন জয়া চাকমা।

জয়া চাকমারা ৩ বোন। জয়া সবার বড়। বয়স ২৮ বছর। তবে এখনো বিয়ের কথা ভাবছেন না দেশের প্রথম এই নারী ফিফা রেফারি, ‘কেবল তো ফিফা রেফারি হলাম। তাই এখনো বিয়ের কথা ভাবছি না। তিন বছর পর ভেবে দেখবো। তিন বোনের মধ্যে আমি বড়। যদি আমার ছোটদের বিয়ের প্রস্তাব আসে বাবা-মাকে বলবো তাদের বিয়ে দিতে। কারণ, আমার আরো সময় লাগবে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে।’