সময় : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর এক আত্মীয়ের নামও এসেছে। এছাড়া গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য এবং বরিশালের বিশিষ্ট এক সাংবাদিকসহ ৬ জনের নাম এখন পর্যন্ত ওই তালিকায় পাওয়া গেছে। এতে ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্বজনরা। আর যাদের নাম রাজাকারের তালিকায় আসার কথা ছিল তাদের নাম আসেনি বলে অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের। এদিকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ করে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

প্রধানমন্ত্রীর আপন ফুফা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাই এবং আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বড় চাচা মরহুম আব্দুল হাই সেরনিয়াবাত শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হয়েও তার নাম উঠেছে রাজাকার তালিকার ৫৮ নম্বরে।

মরহুম আব্দুল হাই সেরনিয়াবাতের পুত্রবধূ নাসরিন নাহার বলেন, ‘খুব অবাক হইছি, হতভম্ভ হইছি, দুঃখ পেয়েছি। আমরা চাই এটা সংশোধন হোক।’

অপরদিকে বরিশালের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্ত ও তার বাবা জিতেন্দ্র লাল দত্তের নাম রয়েছে এ তালিকায়। এ পরিবারের ৫ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে শহীদ হন দু’জন। এরপরও রাজাকারের তালিকায় নাম ওঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা।

সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের ছেলে শুভব্রত দত্ত বলেন, ‘যারা এ তালিকা করেছে তারা ইতিহাস বিকৃতকারী হয়ে থাকবেন।’

যাদের নাম রাজাকারের তালিকায় আসার কথা ছিল তাদের নাম আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার এনায়েত হোসেন চৌধুরী।

এদিকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ করে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।

১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে। এরমধ্যে বরিশাল বিভাগে রয়েছে প্রায় এক হাজার জনের নাম।