সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আয়োজনে ও ৯০’র ছাত্র আন্দোলন পরিষদের সহযোগীতায়-“বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- একাত্তরে বঙ্গবন্ধু এক মহা জনসমুদ্রে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ঘোষনা দিয়ে বলেন-এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।পিতা মুজিবের এই বজ্রডাকে উজ্জীবিত বীর বাঙালী লাল-সবুজের অঙ্গিকারে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।সুদীর্ঘ ৯মাস অবিরাম যুদ্ধে ৩০লক্ষ শহীদ ও ২লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে একাত্তরের ১৬ডিসেম্বর স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যের উদয় হয়। বিজয়ের মাত্র ২দিন পূর্বে ১৪ডিসেম্বর পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাক হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসর আল-বদর,আল-শামস বাহিনী বাঙালী জাতীকে মেধাশূণ্য করার জন্য বুদ্ধিদীপ্ত শ্রেষ্ট সন্তানদের হত্যা করে। জাতীর শ্রেষ্ট সন্তানদের হারিয়ে স্বাধিন বাংলাদেশকে স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু ছাত্র-যুব-কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতি জনতাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যে যাত্রা শুরু করেছিলেন,জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা আজও চলমান। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে বিশ্বজগতে উপস্থাপনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে। ১৭ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হোটেল অয়েষ্টার মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক,জননেতা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচীব, মির্জা ওবাইদ রুমেলের সঞ্চালনে অনুষ্ঠিত সভায়-আলোচক বৃন্দ যথাক্রমে-সাবেক ছাত্রনেতা,সাংস্কৃতিক সংগঠক এড. তাপস রক্ষিত,মো:হোসেন মাসু,আনিসুল হক চৌধুরী,সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন,কাজী মোস্তাক আহমেদ শামীম,স্বপন রায় চৌধুরী,বাবুল ইসলাম বাহাদুর, গিয়াস উদ্দিন বাবুল,তৌহিদুল ইসলাম তোহা,সেলিম হোসেন লিটন,স্বপন ভট্টাচার্য, মো:ওসমান গণি প্রমূখ। আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশাজীবির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-নুর মোহাম্মদ, হারুনুর রশিদ,জালাল উদ্দিন,দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী,জসিম উদ্দিন হেলাল,ইয়াকুব আলী ইমন,কামরুল হাসান হানিফ,মো:ফরিদুল আলম,সেলিম আল দ্বীন,আলা উদ্দিন,রাকিব উদ্দিন,আবু হায়েজ মামুন সহ শতাধিক নেতৃবৃন্দ। সভায় আগামী ১৩ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি ও শহীদ দৌলত ময়দানে স্বাধীনতার মর্যাদা সমুন্নত রাখার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুজিব বর্ষের শুভ সূচনার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সংবাদ প্রেরক- মির্জা ওবাইদ রুমেল, কক্সবাজার।