আহমেদ সৈকত
আমাদের তরুণরা একধরণের ভয়ানক মানসিক চাপের ওপরে চলছে । বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বহু লেখালেখি হয়েছে ।অনেক ইতিবাচকতা দেখা গেলেও গত ৮ বছর যাবত সেটির এক নাটকীয় মোড় নিয়েছে । আর সেটা হলো ৭ টা বিষয়ে সৃজনশীল চালু, প্রক্রিয়াটা ধীরে ধীরে তরুণদের আরো বেশী প্রাইভেট মুখী এবং মেশিন বানিয়ে ছাড়ছে । পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও অন্যান্য কোন সৃজনশীল একস্ট্রাকুলার কাজে যেতে পারছে না এ প্রজন্ম । আমাদের এই তরুণরা স্কুল –কলেজে ডাবল জিপিএ -৫ নিয়েও যেতে পারছে না উচ্চশিক্ষা নিতে ।আমরাই এর জন্য দায়ী ।

আমাদের সন্তান ও আগামী প্রজন্মের মানুষগুলো ভয়ানক হতাশার মাঝে যাচ্ছে । গ্রামের স্কুল গুলোতে অভিভাবকরা সচেতন হয়ে গেছেন কিন্তু আমরা পারছিনা সততা ও যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক তৈরী করতে ;কিংবা তাদের গ্রামে থাকার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাতে । ৭ টা সৃজনশীল এবং ৫ টা বা কখনো ৮ টা ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রায় ২৫ করে নাম্বার শিক্ষকদের হাতে । শহরের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ব্যবহারিকের জন্য পরীক্ষাই হয় না অথচ গ্রামের স্কুল গুলোতে মরণ পীড়া দেয়া হয় কোমলমতি শিক্ষারথীদের । এক স্কুলের সাথে অন্য স্কুলের শিক্ষকদের মাঝে নানান বিষয়ে মতের অমিল –প্রতিযোগীতা খুব স্বাভাবিক ।

শিক্ষকেরা এসএসসি ও এইচএসসি’র মতো পরীক্ষাগুলোতে এ নেক্কারজনক কাজ গুরো করেন খুব হাসি মুখে । এ সব শিক্ষকদের হাতে পায়ে ধরে বলছি ,দেখুন স্যার, যে ছেলে বা মেয়েকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় নাম্বার নিয়ে নোংরা খেলা খেলছেন একদিন আপনাকেও তার ফল ভোগ করতে হতে পারে ।  আসলে ব্যবহারিক দেয়া উচিত ইংরেজীতে । ১২-১৪ পড়াশোনা করে আমরা ইংরেজী অনরগল বলতে পারি না । আর সায়েন্স কিংবা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারিক সেটা অনেকটা বোমেরাং।  ।ব্যবহারিক অবশ্যই দরকার কিন্তু এখন যেভাবে চলছে সেভাবে নয় । আশা করি এ বিষয়ে শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিস্টরা আন্তরিক হবেন ।

 

লেখক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তরজাতিক সম্পরক বিভাগের গ্রেজুয়েট এবং ’রোহিংগা সমস্যায় জাতিসংঘের ভূমিকা” নিয়ে স্নাতকোওর থিসিস করছেন ।