সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় ‘খরুলিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে দোকান দখল’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, সংবাদের উল্লেখিত মারধর ও দখলের কোনো ধরণের ঘটনা আদৌ ঘটেনি। ওই সময় আমি কক্সবাজারেও ছিলাম না। পারিবারিক কাজে কক্সবাজারের বাইরে ছিলাম। অন্যদিকে জমির প্রকৃত ঘটনা হলো, ওই জমি হলো সড়ক-জনপথ অধিদপ্তরের খতিয়ানভুক্ত এবং প্রবাসী নুরুল কবির ও তার ভাইদের পৈত্রিকভাবে দখলীয়। পৈত্রিক দখল স্বত্ত¡ মতে, প্রবাসী নুরুল কবিরের দুইভাইয়ের অংশে জমি আমি ক্রয় করে দখল স্বত্ত¡ বুঝে নিই। কিন্তু এর মধে প্রবাসী নুরুল কবিরের স্ত্রী আমিনা খাতুন আমার ক্রয় করা জমিগুলো তাদের প্রয়োজনের তাগিদে আমার কাছ থেকে ক্রয় করতে আমাকে প্রস্তাব করে। সে মোতাবেক সাক্ষী ও কাগজপত্রের চুক্তি ও দলিল করে ১৩ লাখ টাকা দামে আমার কেনা অংশ প্রবাসী নুরুল কবিরের স্ত্রী আমিনা খাতুনকে বিক্রি করি। শর্ত মোতাবেক দুই কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার কথা। এর জন্য তিনি দুটি চেক প্রদান করেন আমাকে। সে চেকের মারফতে প্রথম কিস্তিতে আমাকে ৩ লাখ টাকার প্রদান করা হয়। কিন্তু বাকি ১০ লাখ টাকা দিতে তিনি গড়িমসি শুরু করেন। দীর্ঘদিন বহু দেনদরবার ও চেষ্ট-তদবির করেও তিনি আমাকে অবশিষ্ট ১০ লাখ প্রদান করেনি। এই ১০ লাখ টাকার জন্য আমি ও সাক্ষীরা সবাই চাপ সৃষ্টি করলে প্রবাসী নুরুল কবিরের স্ত্রী আমিনা খাতুন সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও সাজানো একটি হামলার ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সাজানো সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে।

পরিশেষ আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ব্যাপারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।

প্রতিবাদকারী

আমিনুল হক
খরুলিয়া, ঝিলংজা, কক্সবাজার সদর।