ঢাকা ট্রিবিউন : হঠাৎ বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে পুলিশ। এ সময় ডিএসবি সদস্য আবুল বাশারকে বিএনপির কর্মী ভেবে পেছন দিক থেকে গিয়ে পেটাতে থাকেন আলমগীর হোসেন

বিএনপির কর্মী ভেবে জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি) কন্সটেবল আবুল বাশারকে বেদম পিটিয়েছেন মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌর শহরের চৌহমুনায় এই ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদ ও তার মুক্তির দাবিতে শহরের চৌহমুনা থেকে সকাল ১০টায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিছিল করার কথা ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে আসেন ডিএসবি সদস্য আবুল বাশার। এ সময় মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তাপসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চৌহমুনায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সকাল ১১টার দিকে বিএনপির ১৫-২০ জন কর্মী রাস্তায় জড়ো হন। তখন পুলিশের ড্রেস পরিহিত অবস্থায় সেখানে উপস্থিত হন মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন। হঠাৎ বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে পুলিশ। এ সময় ডিএসবি সদস্য আবুল বাশারকে বিএনপির কর্মী ভেবে পেছন দিক থেকে গিয়ে পেটাতে থাকেন আলমগীর হোসেন।

ডিএসবি সদস্য আবুল বাশার বলেন, “সকালে আমি অফিসে যাওয়ার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিআইও-১ আবু তাহেরের সাথে চৌমুহনা পয়েন্টে যাই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুলতে। ঘটনার সময় আমি যখন ছবি তুলতে যাই হঠাৎ করে পেছন দিক থেকে আমাকে ড্রেস পরিহিত অবস্থায় আক্রমণ করেন ওসি। তখন তাকে বলি, আমি ডিএসবি সদস্য। এরপরও তিনি আমার মাথায় আঘাত করেন। মারধরের সময় মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তাপস বলেন, ‘পুলিশের লোক হলে কি হবে? ডিএসবির লোক কিছু করতে পারবে না। ডিএসবি অফিস একটি বাজে অফিস’।”

উপ-পরিদর্শক তাপস বলেন, “ওসি স্যারের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে ডিএসবি সদস্যের। আমি কিছুই বলিনি।”

অভিযোগের বিষয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, “ছত্রভঙ্গ করতে ঘটনাটি ঘটেছিল। বিষয়টি নিয়ে কথা বলা লজ্জার।”

জানতে চাইলে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) বলেন, “রাজনৈতিক একটা কর্মসূচী ছিল সেটি ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে গিয়েছিল। সেখানে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।”