রিয়াজ উদ্দিন ,পেকুয়া :

পেকুয়ায় ছোট ভাই ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। একই ঘটনায় মাকেও ধাক্কা দিয়ে আহত করেছে ছেলে। এ সময় পৈত্রিক বসতবাড়িও ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ওই স্থান পরিদর্শন করে। স্থানীয়রা আহত স্বামী-স্ত্রী দম্পতিকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৬ টার দিকে ও এর ২ দিন আগে ৮ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ওয়াজখাতুনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র গিয়াস উদ্দিন (৪০), স্ত্রী লতিফা বেগম (৩০)। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, পৈত্রিক বসতভিটা নিয়ে ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মৌলভী জাকের হোসেন ও ছাবের আহমদ গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে টইটং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও থানায় পৃথক বৈঠক করে। বর্তমান চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাবেক চেয়ারম্যান শহীদউল্লাহর সময়েও পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে ভাইদের বিরোধ নিস্পত্তি হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মৌলভী জাকের হোছাইনসহ উত্তেজিত লোকজন ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিনের বসতবাড়ি দখলে নিতে যায়। এ সময় বড় ভাই জাকের ও তার ছেলে, ভাড়াটে লোকজনসহ গিয়াস উদ্দিন ও ছাবের আহমদের বসতবাড়ির বারান্দায় মাটির দেয়াল উপড়ে ফেলে। মালামাল তছনছ ও বসতবাড়ি ভাংচুর চালায়। ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন তার স্ত্রী লতিফা বেগম বসতবাড়ি রক্ষা করতে প্রচেষ্টা চালায়। এ সময় স্বামী ও স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। ছিদ্দিক আহমদের স্ত্রী জাহানারা বেগম(৭৫) বাড়ি ভাংচুর না করতে ছেলেকে নিবৃত করছিলেন। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ মাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে এর জের ধরে দ্বিতীয় দফা মারপিট হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্বিতীয় দফায় ঘটনার উৎপত্তি বিলে আলু ক্ষেত বিনষ্ট করা নিয়ে। ছিদ্দিক আহমদের পুত্র ছাবের আহমদ জানায়, পৈত্রিক সম্পত্তির আপোষমুলে বন্টন হয়েছে। আমরা প্রত্যেকে ১৭ কড়া করে পেয়েছি। মৌলভী জাকের তার অংশ দখলে রেখে আমাদের গুলি জবর দখল করার জন্য পায়তারা করছে। আরেক ভাই সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা বেগম জানায়, নিজের মাকেও ছেলে ধাক্কা মেরেছে। আমরা জুলুমের শিকার হচ্ছি। গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী লতিফা বেগম জানায়, আমার শরীরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। ইউপি সদস্য মনজুর আলম জানায়, আমরা পরিমাপ করে জায়গার বিষয়ে আগেই চুড়ান্ত করেছি। জাকের এরপরও মানছেনা। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানায়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে।