নিজস্ব প্রতিবেদক:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ৩ নং ওয়ার্ডের হাজিপাড়ায় রাতের অন্ধকারে বসতবাড়িতে ঢুকে স্বশস্ত্র হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্কুল ছাত্রীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো- ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী রমজান আলীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার (৩০), তার মেয়ে খুটাখালী কিশলয় বালিকার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী তাসপিয়া আক্তার, আবুল কাশেমের স্ত্রী আয়েশা বেগম (৫৫), তার ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৯) ও মুহাম্মদ কালুর ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৮)।
আহতদের মধ্যে আয়েশা বেগমকে প্রথমে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে। বাকিরা চকরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খবর পেয়ে চকরিয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থ থেকে ২ জনকে আটক করেছে। তারা হলো- মুহাম্মদ মুবিন ও রিফাত। রিপোর্ট লিখাকলে তারা থানা হেফাজতে রয়েছে।
এ ঘটনায় জহির আহমদ, নুর মোহাম্মদ, মুহাম্মদ মুবিন, নাসির উদ্দিন, জাহেদ হাসান, আনিসুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, ফয়সালসহ ১০/১২ জন জড়িত ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ভিকটিম রেহেনা আক্তার জানান, ভাশুর জহির আহমদ, নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী-দখলবাজরা সীমানা দেওয়াল ও ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে হিংস্র কায়দায় হামলা করে। তাতে মেয়ে তাসপিয়া আক্তারসহ ৫ জন আহত হয়। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
তিনি জানান, স্বামী রমজান আলী সৌদিআরব থাকে। প্রায় একযুগ আগে তার নামে স্বামীর কেনা জায়গায় ঘর করে তারা বসবাস করে আসছে।
রমজান আলী মুঠোফোনে জানিয়েছেন, পাকিস্তান প্রবাসী বড় ভাই মমতাজ আহমদের কাছ থেকে প্রায় ১ যুগ আগে স্ত্রী রেহেনা আক্তারের নামে জায়গা কিনে বাউন্ডারীওয়াল দিয়ে সেখানে ঘর করে দেয়। পরে ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে ওই জায়গা দখলে মরিয়া উঠে আপন ভাই জহির আহমদ। এ ব্যাপারে থানা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান অবগত আছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল আওয়াল। তিনি জানান, প্রবাসী রমজান আলী পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। রাতের অন্ধকারে দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা শোনে তিনি ঘটনাস্থলে যান। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আবদুল আওয়াল আরো জানান, রমজান আলীর আপন ভাই জহির আহমদও একই জায়গা ক্রয় করেছেন বলে দাবী করছে। মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের সুত্র ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে, এভাবে মারধর ও রক্তপাত ঘটানো উচিৎ হয়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান জানান, রমজান আলীর জায়গায় ক্রয়ের ডকুমেন্টে তিনি নিজেই সাক্ষি হিসেবে ছিলেন। পরে আরেকপক্ষ কিভাবে মালিকানা দাবী করে? সেব্যাপারে তিনি অবগত নন।