আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবকের নাম মো: জসিম উদ্দিন(৩৮)। জানাগেছে, প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে কলেজ শিক্ষার্থী(২২)র সাথে দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রেম করে আসছিলো কাপ্তাই প্রজেক্টের কর্মচারির সন্তান জসিম উদ্দিন। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে প্রেমিকার কাছে জসিমের প্রথম বিয়ের কথা প্রকাশ হয়ে পড়ে। এতে কলেজ শিক্ষার্থী প্রেমিকা জসিমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে জসিম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। প্রেমের আসক্তিতে সে এক বছরের শিশু কন্যাসহ প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বিবাহিত জেনে জসিমের সাথে প্রেমিকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে প্রেমিক জসিম তাদের অর্šÍরঙ্গ মুহুর্তের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ ভিকটিমের। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মাঝে বাক-বিতন্ডা হয়। রোববার বিকেলে নার্সিং ডিপ্লোমা অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী মেয়েটি কাপ্তাইস্থ বাড়ি ফেরার পথে জোর করে তাকে অন্য আরেকটি অটোরিক্সায় তুলে নেয় জসিম। মেয়েটি কাপ্তাই থানার কাছে এসে চিৎকার দিলে পুলিশ কর্তৃক জসিমকে আটক করা হয়। পরে সোমবার সারাদিনই নানা তৎপরতার মাধ্যমে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে তৎপরতা চালায় বর্তমান ও সাবেক প্রভাবশালী দুইজন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জের দৃঢ়তার কারনে তাকে ছাড়িয়ে নিতে পারেনি।

কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাছির উদ্দিন সোমবার রাতে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমরা মেয়েটির কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে এবং ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জসিমকে আটক করেছি এবং মঙ্গলবার তাকে রাঙামাটির আদালতে সোপর্দ করবো। কাপ্তাই থানায় মামলা নাম্বার-৩ বলেও জানিয়েছেন ওসি।

এদিকে ভিকটিম মেয়েটি প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানায়, বিগত প্রায় দুই বছর ধরে তার সাথে সম্পর্ক ছিলো ছেলেটির। কিন্তু ছেলেটি বিবাহিত জানার পর তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিই। কিন্তু সম্পর্ক থাকাকালীন সময়ে তোলা কিছু ছবি সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে দেয়। কয়েক মাস ধরেই তাকে অব্যাহতভাবে বিয়ের জন্য বিরক্ত করে আসছিলো। তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছিলো। অবশেষে আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কাপ্তাই থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি। এই ব্যাপারে মেয়েটির পিতা মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, আমার মেয়েকে যেভাবে হয়রানী ও অপমান করেছে আমি তার জন্যে ন্যায় বিচার চাই।