এম বশির উল্লাহ, মহেশখালী:

বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সোমবার সকালে মহেশখালী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে জয়িতা নারীদের পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এমপি আশেক এই সব কথা বলেন।

৯ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তার আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মর্কতা শিরীন ইসলাম।

প্রধান অতিথি সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, সমাজের অর্ধেক মানুষ নারী। সেই নারীদের বাদ দিয়ে অর্থাৎ একটি অঙ্গকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে নারী পুরুষ সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করছে, এ কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

নারী-পুরুষকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল। বেগম রোকেয়ার কর্মে ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আজকের নারীরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এগিয়ে যাবেন।

‘বর্তমান সরকার নারীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের জন্য জাতীয় কৌশল, নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সনদ ও উন্নয়ন এজেন্ডা অনুযায়ী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। একজন মেয়ে যদি আয় করে, তাহলে পরিবারে তার সম্মান থাকে। নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে সমাজে তার গুরুত্ব বাড়ে ও সম্মান নিশ্চিত হয়। নারীমুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য নারী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বেগম রোকেয়া এজন্যই নারীদের শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে গেছেন। সভায় বিশেষ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, মহেশখালী উপজেলা শাখা।

মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ডা: নুরুল আমিন, কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন, হোয়ানক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বড় মহেশখালীর এনায়েত উল্লাহ বাবুল, ধলঘাটার ইউপি কামরুল হাসান, মুক্তিযুদ্ধা সালেহ আহমেদ। অনুষ্ঠানে ৩জন নারীকে বিশেষ অবদানের জন্য সনদ ও পুরস্কার দেয়া হয়েছে। শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে লাল মোহাম্মদ সিকদার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামিমা আক্তার, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্ভী ক্ষেত্রে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তৌহিদা আক্তার ও সফল জননী হিসাবে রহিমা কবির কে সম্মানণা দেয়া হয়েছে।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় আহত অতিথিরা দূর্নীতি বিরোধি র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে পরে বিকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ক সভায় উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভিন্নশ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।