রামু সংবাদদাতা:
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীকাটার পশ্চিম টেকপাড়াস্হ পাশে ঝুঁকি পূর্ণ সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যায় কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও অত্র এলাকার জনসাধারণ। প্রতিদিন ঐ সাঁকো থেকে শিক্ষার্থীসহ প্রায় পাঁচশত থেকে দুই হাজার লোক আসা যাওয়া করে।শিশু শিক্ষার্থীরা বাঁশের সাঁকো পার হতে ভয় পায়। এমনকি বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে চায়না কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। বাধ্য হয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে যেতে হয় অভিভাবকদের।

জানা যায়, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীকাটা পশ্চিম টেকপাড়া গ্রামে যদিও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে গিয়ে লেখাপড়ার তেমন কোন ভাল যোগাযোগ ব্যবস্হা না থাকায় বাধ্য হয়ে ৪-৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পাঠদানের জন্য যেতে হয় মৌলভীকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,রিয়াজুল আলম বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মৌলভীকাটা আল-গিফারি আর্দশ (রাঃ) দাখিল মাদ্রাসায়।

অভিভাবকরা থাকেন নানা দুচিন্তায়।যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের দাবি এখানে যেন অতিশিঘ্রিই একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে কলেজ ছাত্র মোঃশফি ও শিশু শিক্ষার্থী নাহিদ, জেসমিন আক্তার বলে,  আমরা প্রতিদিন অতিকষ্টে ক্লাসে আসা-যাওয়া করি। সাঁকো যখন পার হই তখন অনেক ভয় পাই। তারা আরো বলেন বর্ষা মৌসুমে নদীতে অনেক পানি আসে ও রাস্তাঘাট খারাপ থাকায় আমরা ক্লাসে যেতে পারিনা। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একান্ত দাবি এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে আমাদের জনদুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রামু উপজেলার মৌলভীকাটা পশ্চিম টেকপাড়া গ্রামের রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্হা। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা ঐ রাস্তা ও সাঁকো পার হয়ে ক্লাসে যাওয়া আসা বন্ধ থাকে। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও স্হানীয় বাসীন্দাদের নিজেদের উদ্দ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়।

উন্নয়নের দিক থেকে এলাকাটি বেশ অবহেলিত। এখানে চলাচলের জন্য নেই কোন ভাল রাস্তাঘাট। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা তাড়াহুড়া করে সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট -বড় দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীকাটা আল-গিফারি আর্দশ (রাঃ) দাখিল মাদ্রাসা সুপার শামশুল আলম বলেন, এলাকার জনগন ইসলামী শিক্ষার প্রতি অত্যন্ত অনুরাগী। তাদের ছেলেমেয়েদেরকে মাদ্রাসায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষন করে। কিন্তু মৌলভীকাটা আল-গিফারি আর্দশ (রাঃ) দাখিল মাদ্রাসাটির সাথে এলাকার বিভিন্ন ব্রিজ ও পাকা রাস্তা না থাকায় এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইচ্ছার বাস্তবায়ন হচ্ছে না।সেহেতু রাস্তাপাকা ও ব্রিজ নির্মাণ হলে মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী বৃদ্ধি ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ সৃষ্টি হবে।

মৌলভীকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক   ছিদ্দিকুল আজাদ রাশেদ বলেন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়। যে কোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ওখানে একটি ভালমানের সেতু হলে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য খুবই ভাল হয়।

তিনি আরো বলেন যেহেতু শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার যাতে করে সমাজের অবহেলিত এ সমস্ত কোমলমতি শিশুরা যাতে শিক্ষা থেকে যেন বনঞ্চিত না হয়। এ জন্য দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইসমাঈল মোঃ নোমান বলেন, ওটাতো একে বারেই বড় সাঁকো ওখানের যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন ভালনা।বাচ্চাদের আসা -যাওয়ার ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হয়। অভিভাবকরা বাচ্চাদের নিয়ে আসতে হয় এবং দিয়ে আসতে হয়। অনেক সময় অভিভাবকরা সাথে আসতে পারেন না কারণ অনেক অভিভাবক সচেতন না। ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এজন্য ওখানে ঐ বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ অথবা আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করা হলে বাচ্চাদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই ভাল হয়। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ ওখানে যেন অতিশিঘ্রিই একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।