ফারুক আহমদ উখিয়া :

উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত এনামুল হকের (২৫)  জানাজা শেষে ভালুকিয়া থিমছড়ি মাঝের পাড়া পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। রবিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত জানায় ইমামতি করেন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন।

জানাযা নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন পরিকল্পিতভাবে চিহ্নিত ব্যক্তিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিরহ যুবক এনামুল হককে সন্ত্রাসী হামলা ও ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। অবিলম্বে হত্যার ঘটনায় জড়িত সকল আসামিদের কে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের নিকট দাবি জানান তিনি। এ সময় নিহতের পিতা বাদশা মিয়া ও আত্মীয়-স্বজন বক্তব্য রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার বাদশা মিয়ার পুত্র এনামুল হককে রাত ৮ টার দিকে পরিকল্পিত ভাবে তাকে খুন করা হয়। বাড়িতে ফেরার সময় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পূর্রশুত্রতার জের ধরে ধারালো চুরি দিয়ে এনামকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে ফুফাতো ভাই সাদেক মারাত্মক জখম করা হয়।

চিৎকার শুনে স্হানীয়রা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এনামকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সাদেক আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতের চাচা জানান, একই এলাকার শাহজাহান তার ছেলে রেজাউল, মিজান, অলি উল্লাহ সহ অন্যান্যরা ভালুকিয়া বাজার থেকে ফেরার পথে পূর্বকুল এলায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র ও ধারালো ছুরিকাঘাত করে এনামকে খুন করে। গ্রামবাসীরা জানান গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় গরু ক্ষেত খাওয়ার বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটা কাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। প্রতিপক্ষরা নিহত এনামের ফুফুকে মারধর ও নির্যাতন করে। আহত ফুফু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত শনিবার বাড়িতে ফিরেন। আর এই ঘটনায় জের ধরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন ফুফু’র ভাতিজা এনামুল হক। এ ব্যাপারে পিতা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে । গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জায়গার সীমানা নিয়ে শাহজাহানের সাথে নিহত এনামের ফুফু’র মধ্য বিরোধ চলে আসছিল।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল মনসুর জানান, এ ঘটনায় শাহজাহানের পুত্র রেজাউল করিম ও অলি উল্লাহ নামের ২ জনকে আটক করা হয়েছে।