আহমেদ সৈকত

আজ থেকে প্রায় তিন চারশ বছর আগে র্জামানির বুকে এসেছিলেন একজন মহান পুরুষ , যিনি বলে দিয়েছিলেন দুনিয়াতে এই কথাটি । অবশ্য ওনার আগে বলতে গেলে সব মহাপুরুষ নানান ভাবে বলেছেন , বস্তুবাদী তথা টাকা পযসাকে মানুষের সম্মানের মাপকাঠি বিবেচনা করলে মানুষ সুখ নিয়ে ভূল ধারণা নিবে । আজ দুনিয়াতে শিল্প বিপ্লবের চার নাম্বার ধাপ চলছে । এটি একেবারে চরম দাপ বললে সমীচীন হবে না । রোবটিক্স আজ আমাদের কাছে সাধারণ হয়ে যাচ্ছে । জাপান, আমেরিকা সহ প্রথম বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোতে এসব সুস্পষ্ট । মানুষ ভয়ানকভাবে মেশিন র্নিভর হয়ে যাচ্ছে । এটি সারা দুনিয়াতেই হচ্ছে । বিশ্বায়ন এখন কেউ টেকাতে পারবে না । ইংরেজীর ‘ভাষাগত সাম্রাজ্যবাদ ’ ও একটি অমোঘ নিয়তি ।আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বছর আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগে আমার প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক মতিউল হক মাসুদ স্যারের ক্লাসে এই সমস্যা ও এর সমাধানের প্রবক্তা র্কাল র্মাকস এর ব্যাপারে ইংরেজীতে সুপরিসরের এক প্রেজেন্টশন দিয়েছিলাম । আমার সহপাঠী বন্ধুরা , আমাকে তখন নাম দিয়েছিলেন “আমাদের র্কাল র্মাকস ” । কাকতালীয় ভাবে , আমার জীবনের অন্যতম সেরা শিক্ষক সেদিন আমার কথা গুলো শোনেছেন ।আজ মাসুদ স্যার বাম ধারণার প্রবক্তা মারকসের দেশে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে গিয়েছেন ।ওনার জন্য একবুক ভালবাসা, শুভকামনা ।আমি অত্যন্ত সুন্দরভাবে র্মাকসের প্রশংসা ও সমালোচনা করেছিলাম ।বিষয়টা বাম,ডান,মধ্যম সবার ভালো লেগেছিল । আসলে আমার জীবনে এই মহান মানুষ নিয়ে পড়াশোনার উৎসাহ দিয়েছিলেন কক্সবাজারের শ্রেস্ঠ সন্তান রামুর অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশতাক আহমেদ । আমার মামা ইন্জিরীয়ার বদিউল আলমের সুবাদে এই সুপুরুষের সাথে আমার দেখা হয় । ইতিমধ্যে মোশতাক স্যার এখানে ইংরেজীতে একটি স্মৃতিচারণামূলক লেখা লিখেছি । আসলে কলেজের পুরো দু’বছর আমি স্যারের সান্নিধ্যে ছিলাম । এবং সেখান থেকেই সৃজনশীল জীবনধারার সাথে আামার পরিচয় । বাম , ডান ভীতি আছে আমাদের অনেকের ,পঢ়াশোনা কিন্তু নেই । ২০১১-২০১৩ দু’বছর কক্সবাজার ছিলাম । এরপর দীর্ঘদিন ঢাকায় ড. সলিমুল্লাহ খান ও ফরহাদ মজহারের সান্নিধ্যে এসব নিয়ে পড়াশোনা আরো বেগবান হয় । মাঝখানে বাম, ডান মিলে জগাখিচুড়ি অবস্থা হয়ে গিয়েছিল ।যাহোক , এতদিন পুঁজিবাদ নিয়ে আমার ব্যক্তিগত জীবন ধারার কথা গুলো বললাম , কারণ আমি মনে করি মানুষের বেড়ে ইঠার পেছনে তার আগের মানুষ গুলোর অবদান স্বীকার করে নেয়া । বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিস্ঠনিক ভাবে যা পড়েছি তা এখন প্রয়োগিক ধারায় প্রকাশ করবো বলে এই প্রথম প্রিয় মানুষ গুলোকে স্মরণ করার মাধ্যমে এ লেখাটি শুরু করলাম । আরো আসছে ।

লেখক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের গ্র্যজেুয়েট এবং “রোহিংগা সমস্যায় জাতিসংগের ভূমিকা” নিয়ে স্নাতরকোত্তর থিসিস করছেন । তিনি ফ্রিল্যন্সার ,অনুবাদক, গবেষক ও COMMUNICATIVE, CORPORATE ENGLISH’র মাস্টার ট্রেইনার এবং কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর আজীবন সদস্য ।