ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক অনুমোদিত জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা’ কক্সবাজার জেলা আহবায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়েছে।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল আলম ও পরিচালক সৈয়দ শফিউল আজম হেলাল গত ৪ ডিসেম্বর আগামী তিন মাসের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেন।
১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক হাসনা হুরাইন চৌধুরী, যুগ্মআহবায়ক সাইফুদ্দিন শাওন, আশফাক আহমেদ ইভান এবং সাখাওয়াত হোসেন তুর্য।
কমিটির সদস্যরা হলেন -দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য আকাশ, অনিশ পাল রনি, ইনজামামুল হক, শবনম মুস্তারী রনি, রুপজয় বড়ুয়া রুপু, ইব্রাহিম খলিল, উদিতা লাবনী।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কক্সবাজার জেলার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়ায় কেন্দ্রীয় সংগঠনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আহ্বায়ক হাসনা হুরাইন চৌধুরী, যুগ্মআহবায়ক সাইফুদ্দিন শাওনসহ সংশ্লিষ্টরা। তারা সংগঠনকে শক্তিশালী ও এগিয়ে নিতে সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, হাসনা হুরাইন চৌধুরী কক্সবাজারের প্রবীন সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরীর মেয়ে ও জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরীর সহধর্মীনি।
বঙ্গবন্ধুর জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময়। সংগ্রামমুখর জীবনের বেশিরভাগ অংশই কেটেছে বাঙালীর স্বাধীনতা আদায়ের জন্য জেলখানায়। নিজ জাতির জন্য এরকম লড়িয়ে নেতা দুনিয়ায় দ্বিতীয়টি নেই। তার গড়া বাংলাদেশ এখন পালন করছে জাতির জনকের জন্ম শতবর্ষ। তাঁকে নিয়ে রয়েছে অসংখ্য সাহিত্য। রয়েছে অসংখ্য বিশ্লেষণ। তার প্রতিটা কাজ ও উদ্যোগকে জাতি স্মরণ করছে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা পর্যায়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান। মাত্র পঞ্চান্ন বছরের জীবনে তিনি যা কাজ করেছেন, শতবর্ষী কোন মানুষের পক্ষেও এক জীবনে এতটা কাজ করা প্রায় অসম্ভব পর্যায়ে। কিন্তু জাতিকে সত্যিকার দিকনির্দেশনা দেয়া, সঠিক নেতৃত্ব দেয়া এবং বিশেষ করে পরাধীন একটি জাতিকে স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দেয়া কেবল বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই সম্ভব হয়েছে।
অনাগত প্রজন্মকে জাতির জনকের ইতিহাস জানাতে ২৯ বছর পূর্বে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।