শফিক আজাদ,উখিয়া (কক্সবাজার) :

উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের ঘুমধুম বড়বিল ৬নং ওয়ার্ডের বড়ুয়া এলাকায় ২০১৮ ও ২০১৯ অর্থবছরের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্রিজ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার ব্রিজ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। তবে পিআইও বললেন কংক্রিটের মান খারাপ হওয়ায় কাজ বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরজমিন বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, ব্রিজের নিচে পাইলিং করার কথা থাকলেও রাতের আধারে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার পিআইওকে ম্যানেজ করে রাতের আধারে পাইলিংয়ের নামে ১ ইঞ্চির মতো ঢালাই করে করে কাজ শেষ করে দেন। এছাড়া ব্রিজে ব্যবহৃত রড এবং কংক্রিটের গুণগত মান অত্যান্ত খারাপ।

স্থানীয় লোকজন সাংবাদিক দেখে এগিয়ে এসে বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা একটি ব্রিজ পেয়েছি, কিন্তু ঠিকাদার এবং পিআইও মিলে ব্রিজের কাজে ব্যাপক অনিয়ম করে যাচ্ছে। আমরা এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কোন কর্ণপাত করছেনা তারা।

ঘুমধুম ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সুব্রত বড়ুয়া বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে ব্রিজটির বাজেট টেন্ডার করেছি। কিন্তু ঠিকাদার নিম্মমানের রড,বালি এবং কংক্রিট দিয়ে কাজ করার কারনে এলাকারর মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনে এ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী নিকট স্বরণাপণ্য হব। তবুও দুর্নীতি করার সুযোগ দেওয়া হবেনা।

সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারী প্রতিষ্টান এবং ব্যয় বরাদ্দ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানার নিকট ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত ব্রিজ নির্মাণ কাজে যেসব কংক্রিট আনা হয়েছে তার গুণগত মান খারাপ হওয়ায় সেগুলো নিয়ে কাজ না করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। বাকি সব ঠিক আছে । এ সময় তার নিকট ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের নাম এবং ব্যয় বরাদ্দের তথ্য জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোন সদোত্তর না দিয়ে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন।