প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক, বিশিষ্ঠ নৃবিজ্ঞানী ড. রাহমান নাসির উদ্দিন গত বুধবার অস্ট্রেলিয়া গেছেন। তিনি সেখানে দুই সপ্তাহ অবস্থান করবেন এবং সিডনি, মেলবোর্ন এবং এ্যাডিলেইডের পাঁচটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ টি সিরিজ লেকচার দেবেন। শরণার্থী, রাষ্ট্রবিহীন মানুষ, জোর করে বাস্তুচ্যুত, ক্যাম্প-নিবাসী, শরাণার্থী হিসাবে আশ্রয়প্রার্থী এবং সীমান্তবাসী মানুষের জীবন নিয়ে ড. রাহমান নাসির উদ্দিনের তত্ত¡ সাব-হিউম্যান জীবন (ংঁনযঁসধহ ষরভব) নিয়ে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন ও আলোচনা হচ্ছে। তিনি তাঁর তত্ত¡ নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে লেচকার দিচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি গত অক্টোবরে তিনি আমেরিকার বিখ্যাত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক, নিউ স্কুল ফর সোস্যাল রিসার্চ, দেলাওয়ারে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১২ টি লেকচার দিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, পৃথিবীর বিখ্যাত প্রকাশনী সংস্থা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস থেকে প্রফেসর ড. রাহমান নাসির উদ্দিনের বই ঞযব জড়যরহমুধ: অ ঈধংব ড়ভ ঝঁনযঁসধহ প্রকাশিত হচ্ছে ডিসেম্বর মাসে যা নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮ সালেও তিনি তার ংঁনযঁসধহ ষরভব তত্ত¡ নিয়ে কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াটারলো বিশ্ববিদ্যালয়, এবং ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিরিজ লেকচার দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি তার সিরিজ লেকচারের অংশ হিসাবে অস্ট্রেলিয়া গমণ করেন।

উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. রাহমান নাসির উদ্দিনন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করছেন দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে। সমাজ, সংস্কৃতি, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গড়ন, আচরণ, মিথষ্ক্রিয়া এবং বিকাশ বিষয়ে মৌলিক পঠন-পাঠন, চিন্তা-ভাবনা ও লেখালেখি করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর করে উত্তর-ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে সাংস্কৃতিকভাবে ভিন্ন মানুষের প্রান্তীকীকরণ প্রক্রিয়া ও এর জাতীয়তাবাদী রাজনীতি নিয়ে জাপানের বিখ্যাত কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন ২০০৮ সালে। উপনিবেশবাদ ও উত্তর-উপনিবেশবাদের মধ্যকার সম্পর্ক (মোহাব্বত ও মোকাবেলা) বিষয়ে ‘ব্রিটিশ একাডেমি ফেলো’ হিসেবে তিনি যুক্তরাজ্যে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন ২০০৯ সালে। আমি উত্তর-ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে ঔপনিবেশিকতার আছর এবং এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ‘দিল্লী স্কুল অব ইকোনমিক্স’-এ গবেষণা ফেলো হিসেবে তাত্তি¡ক ও আর্কাইভাল গবেষণা করেন ২০১০-১১ সালে। ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি ‘নব্য-উদারবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা ও রাষ্ট্র-সৃষ্ট প্রান্তের আন্তঃসম্পর্ক’ বিষয়ে হুমবোল্ড ভিজিটিং স্কলার হিসেবে জার্মানির একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করেন। এ ফেলোশিপের আওতায় তিনি জার্মান ও ফরাসি সমাজচিন্তার ইতিহাস, বিকাশ ও বর্তমান অবস্থার ক্রিটিক্যাল ও র‌্যাডিক্যাল দিক নিয়ে গবেষণা করেন। পাশাপাশি ‘রাষ্ট্র-বিষয়ক নৃবিজ্ঞান’ বিষয়ে জার্মানির একটি বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন সেমিস্টার অধ্যাপনা করেন ২০১৩ সালে। ২০১৪ সালে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বখ্যাত ‘লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স’-এর নৃবিজ্ঞান বিভাগে ‘ভিজিটিং স্কলার’ হিসেবে উত্তর-উপনিবেশিক রাষ্ট্রে আদিবাসী ইস্যু, রাষ্ট্র-নির্মাণ ও প্রান্তিকীকরণের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করেন। এভাবে ২০০৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের পর তিনি চারটি পোস্ট-ডক্টরেট করেন। সম্প্রতি ২০১৮ সালে তিনি পৃথিবীর বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রিফিউজি ষ্টাডি সেন্টারে ভিজিটিং স্কলার হিসাবে উচ্চতর গবেষণা করেন। পাশাপাশি, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝঙঅঝ-এর নৃবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা পরামর্শক হিসাবে কাজ করেন ২০১৮-২০১৯ সালে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, ও ফ্রান্সসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ এবং ইনভাইটেড লেকচার দিয়েছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস, ইউভার্সিটি অব প্যানসালভেনিয়া প্রেস, জড়ঁঃষবফমব, ঝঅএঊ, চধষমৎধাব গপগরষষধহ, ঝঢ়ৎরহমবৎ, ইষড়ড়সংনঁৎু, ঙৎরবহঃ ইষধপশঝধিহ-সহ পৃথিবীর প্রায় সব স্বনামধন্য, নামাজাদা এবং বনেদি প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রফেসর ড. রাহমান নাসির উদ্দিনের একাধিক বই, জার্ণাল আর্টিক্যাল, বুক চ্যাপ্টারসহ অসংখ্য গবেষণা কর্ম প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য তিনি কক্সবাজারস্থ বাহার ছড়া গ্রামের মরহুম অছিউর রাহমানের (মিস্ত্রী) কনিষ্ঠ পুত্র ও কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মুহাম্মদ আলী জিন্নাতের ছোট ভাই।-বিজ্ঞপ্তি