নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদা না দেয়ায় হামলা বাসতবাড়ি ভাঙচুর লুটপাটের পর উল্টো মামলা দিয়ে পুরা পরিবারকে ঘর ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে চিহৃত এক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে।

শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় নারীও শিশসহ ৭জন আহত হবার পর মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। উল্টো মাদক কারবারিদের পক্ষ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এর পর থেকে একটি পরিবারের সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শহরের হোটেল সৈকতস্থ রিপোর্টার ইউনিটির কার্যকালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

গত ১ ডিসেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলাধীন হলদিয়া পালং ইউনিয়নের দক্ষিণ ক্লাস পাড়া এলাকার এ ঘটনা ঘটে।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেন, ঘর নির্মাণের জন্য বালি আনার কাজে সন্ত্রাসী আশিক চাঁদার টাকার দাবীতে বাধা সৃষ্টি করে। চাঁদা না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে গত (১ ডিসেম্বর) বিকেলে আছাব উদ্দিন আশিক এর নেতৃত্বে তাহার সহযোগী সন্ত্রাসী তার ভাই জাফর আলম (৫২), রফিক উদ্দিন (৪৫) ও একই এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র খোরশেদ আলমসহ ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় আমার বসতগৃহে হামলা চালিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে ভাংচুর করে।

এসময় তারা বসতসগৃহ ভাংচুর করে আনুমানিক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং দুই ভরি ওজনের স্বর্ণ অলংকার, নগদ বিশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের হামলায় কলেজ পড়ুয়া আসহাব উদ্দিন প্রঃ আশু (২৪), গর্ভবতী নয়নমনিসহ নুরুল হক, শাহ জালাল, ছৈয়দ নুর, হামিদা আক্তার, গোলবাহার বেগম, লাভলী আক্তারসহ শিশু পুত্র সাফাত উদ্দিনকেও গুরুতর আহত হয়।

হামলাকারিরা সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দাবি করে আছাব উদ্দিন আশিক এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানার মাদক মামলা যার নং- ১৪/৩৫৮ মামলা আছে বলে থানা সুত্রে জানা য়ায়।

এছাড়া তার সহযোগী বাদশা মিয়ার পুত্র ফয়সাল মোর্শেদ (২৩) সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক হয়ে বর্তমানে মাদক মামলা নং- ০৪/২০৮ মূলে জেল হাজতে আছে বলে স্থানীরা জানিয়েছে।

এসয় ভুক্তভোগীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, কান্না জড়িত কন্ঠে বৃদ্ধা গুলবাহার বেগম আরো জানান, তাদের কোন অপরাধ বা অন্যায় থাকলে প্রচলিত আইনে বিচার হতে পারে। এজন্য আমরা প্রস্তুত। কিন্তু পরিবারের প্রতি তাদের মানুষিক ও শারীরিক অত্যাচারের কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। এমতাবস্থায় পরিবারসহ নিশ্চিন্তে বসবাসের নিরাপত্তা প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এক প্রশ্নে জবাবে তারা জানান, সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির কারণে কোন স্থানে বেশিদিন থাকতে পারছেন না। একপ্রকার উদ্বাস্তুর জীবন কাটাতে হচ্ছে। কোন প্রকার সুবিচার না পেলে স্বপরিবারে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ থাকবেনা বলে জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে নয়নমনি, লাভলী আক্তার, মরিয়ম, মোঃ মানিক, নুরুল হক, হামিদা আক্তারসহ স্বপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।