ডেস্ক নিউজ:

নিজের এক জুনিয়র আইনজীবীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ তিনজনকে কলাবাগান থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কায়সার কামালসহ অন্য দুজন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ঝগড়া (কথাকাটাকাটি) করছিলেন বলে জানা গেছে।

পরে নারীঘটিত এ ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল এলাকা থেকে তাদের থানায় নেয়া হয়।

রাজধানীর পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালের বিপরীত সড়কে এ ঘটনা ঘটে। থানায় নিয়ে আসা অন্য ব্যারিস্টারের নাম আতিকুর রহমান। তবে তার স্ত্রীর নাম জানা যায়নি।

কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

এদিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, পরকীয়ার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবীকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা কিনা তা আমাদের জানা নেই।

ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা আরো জানান, ব্যারিস্টার এম আতিকুর রহমানের বাসায় যাওয়া-আসার সুবাদে কায়সার কামালের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরিচয় হয়। তার সূত্র ধরে কায়সার কামাল আতিকের স্ত্রীকে নিয়মিত উপহার পাঠাতেন। ইতোমধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহ দানা বাধে। কিন্তু এর কোনো সুরাহা না পেয়ে ব্যারিস্টার আতিক চুপ করে থাকেন। এরপর সিনিয়র আইনজীবী কায়সার কামাল ও স্ত্রীর সঙ্গে একটি অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে সেটি তিনি টের পান।

তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় আজ তাদের (আতিকের স্ত্রী ও কায়সার কামাল) দেখা করার দিন ছিল। এমন তথ্য জানতে পেরে ব্যারিস্টার এম আতিকুর রহমানের স্ত্রী ও কায়সার কামালকে ফলো করতে করতে আতিক দেখতে পান তার স্ত্রীর অফিসের সামনে কায়সার কামাল। অফিসের সামনে দেখা করে দুজনে কথা বলার একপর্যায়ে হঠাৎ দুজনের সামনে উপস্থিত হয়ে স্ত্রী ও কায়সারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে আতিক। পরকীয়া নিয়ে কায়সার কামাল ও স্ত্রীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সেখানে মানুষ জড়ো হতে থাকে। দুই আইনজীবী ও নারীর মধ্যে কথাকাটাকাটিতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের জটলা দেখে কলাবাগান থানা পুলিশ তাদের তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে মূল ঘটনা।

তিনি আরও বলেন, এখন দুপক্ষই থানায় রয়েছে। তাদের বক্তব্য শোনা হচ্ছে। তবে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ দেননি।

জানা গেছে, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রথম স্ত্রীকে আগেই ডির্ভোস দিয়েছেন। এ ছাড়া লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়ার সময় এক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হওয়ার গুঞ্জনও আছে আইনজীবী মহলে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কলাবাগান থানায় তাদের সহকর্মীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা ভিড় করছেন বলে জানা গেছে।