খালেদুল হক , কুবি :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এক শিক্ষার্থীর ওএমআর বৃত্ত ভরাটের ভুলে মেধা তালিকায় ১২তম স্থানে চলে আসে। গতকাল (৩ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।
গত ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২০৬০৫০ রোলধারী সাজ্জাদুল ইসলামকে অনুপস্থিত দেখালেও ১২ নভেম্বরের প্রকাশিত ফলাফলে তিনি মেধা তালিকায় ১২তম স্থান অধিকার করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি স্থগিত করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ। তদন্ত কমিটি জানায়, একজন ছাত্র নাম আল মোস্তাকীন, রোল নং ২০৬১৫০, কেন্দ্র: টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, কোটবাড়ী ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ওএমআর শীটে তাহার নির্ধারিত রোল নং এর জায়গায় তার প্রকৃত রোল নং ২০৬১৫০ লিখলেও ওএমআর শীটে বৃত্ত ভরাটের ক্ষেত্রে ভুলক্রমে ‘১’ এর স্থলে ‘০’ বৃত্তটি ভরাট করেন । এখানে উল্লেখ্য যে, ওএমআর শীট রিডার ম্যানুয়েল রোল নং স্ক্যান করে না, শুধুমাত্র বৃত্ত ভরাট অংশটুকু রিড করে থাকে। যাহার পরিপ্রেক্ষিতে মেশিনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকৃত ফলাফলে প্রকৃত রোল নং ২০৬১৫০, নাম: আল মোস্তাকীনের ফলাফল তাহার পূরণকৃত রোল নং ২০৬০৫০, মো: সাজ্জাদুল ইসলামের নামে প্রকাশিত হয়। কক্ষ পরিদর্শক যদি ছাত্রটির প্রকৃত রোল নং ২০৬১৫০ ওএমআর শীটে সঠিকভাবে বৃত্ত ভরাট করেছে কিনা তাহা নিশ্চিত হয়ে ওএমআর শীটটি স্বাক্ষর করতেন তাহলে উল্লেখিত ভুলটি কোনভাবেই সংগঠিত হত না। এখানে ‘বি’ ইউনিট কমিটির কোন রকম জালিয়াতি কিংবা অনিয়ম তদন্ত কমিটির কাছে প্রতিয়মান হয়নি। পরীক্ষার্থী ও কক্ষ পরিদর্শকের ভুলেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলে অসামঞ্জস্যটি সংগঠিত হয় বলে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হয়। তদন্ত কমিটি ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার সুপারিশ করেন এবং সেই মোতাবেক অদ্য ০৪.১২.২০১৯ইং তারিখ থেকে যথারীতি ভর্তি কার্যক্রম চালু হচ্ছে। ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি প্রক্রিয়া আগামী ১০.১২.২০১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত চলবে।

উল্লেখ্য যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর ইতিহাসে জালিয়াতির ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায় নি।