ডেস্ক নিউজ:
ক্রীড়াবিদদের ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে ক্যারিয়ারে ধাক্কা খাওয়ার নজির আছে ভুরি ভুরি। শারীরিক শক্তি বর্ধনের পাশাপাশি নিজেকে ফিট রাখার জন্য অনেকেই নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে অ্যাথলেটদের মাঝে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দৌড়বিদ কানাডিয়ান বেন জনসনের ডোপ নিয়ে নিষিদ্ধ হবার ঘটনা সর্বজনবিদিত। টেনিসে মারিয়া শারাপোভা কিংবা ক্রিকেটেও আন্দ্রে রাসেলের মতো খেলোয়াড়দের ডোপ টেস্টে আটকে পড়ার নজির আছে।

বিশ্বের সব বড় আসরেই ক্রীড়াবিদদের ডোপ টেস্ট দিতে হয়। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাসহ প্রায় সব ক্রিকেটারকেই ঐ টেস্ট দিতে হয়েছে। তবে বাংলাদেশের কোন অ্যাথলেট, ফুটবলার, ক্রিকেটার কিংবা সাঁতারুর নিষিদ্ধ ড্রাগ নেবার ঘটনা শোনা যায়নি সেভাবে। এবার সেই না ঘটা ঘটনাই ঘটেছে।

ঘটিয়েছেন জাতীয় দলের পাইপলাইনে থাকা উদীয়মান পেসার কাজী অনিক। জাতীয় যুব দলের হয়ে খেলা এ বাঁহাতি পেসার ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন। এবং যেহেতু তিনি ক্রিকেটার, তাই তার বিষয়টি বিসিবিই দেখছে। বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের কাছে তার ডোপ টেস্টের রিপোর্ট আছে।

জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল অবেদিন নান্নু আজ রোববার দুপুরের পর এ নিয়ে মিডিয়ার সাথে কথা বলেছেন। নান্নু জানিয়েছেন, ‘যেহেতু ডোপ গ্রহণ নিষিদ্ধ। আর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কাজী অনিকের ওপর অনিবার্যভাবেই শাস্তির খড়গ ঝুলছে।’

নান্নুর কাছে প্রশ্ন ছিল-আপনাদের এইচপি, ইমার্জিং কোন দলেই কাজী অনিককে দেখা যাচ্ছে না। তার কি সমস্যা? কোন ইনজুরি এসে গ্রাস করেছে নাকি? জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক উত্তরে জানান, ‘কাজী অনিক ডোপ টেস্টে পজিটিভ হিসেবে ধরা পড়েছেন।’

নান্নু আরও বলেন, ‘আমরা জানি ও ডােপ টেস্টে পজিটিভ। একারণেই ও আমাদের কোন পরিকল্পনায় নেই। তবে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কেননা বিসিবির মেডিকেল বিভাগের প্রতিবেদন হাতে পাইনি। হাতে পেলে মিটিং করে ওর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বাইলজ অনুযায়ী ডোপ পজিটিভ একজন ক্রিকেটার ২ থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। ওর ক্ষেত্রেও তাই হবে।’

তার মানে অন্তত দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন কাজী অনিক। শাস্তি আরও বেশিও হতে পারে। যেটি কিনা ২০ বছর বয়সী এই পেসারের ক্যারিয়ারে বড়সড় ধাক্কাই হবে।