মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ায় দোকান ঘরের মালিকানা বিরোধ নিয়ে ছোটভাইয়ের হামলায় বড়ভাই আহত হয়েছে। আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট বাজারের চা বাগান সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড চা বাগান সাতঘড়িয়া পাড়ার মৃত হাজী নুরুল হুদার পুত্র মাহাফুজুর রহমান (৬৫) ও তার ছোটভাই আবদুর রশিদ (৬০) এর মাঝে মালুমঘাট বাজারের একটি দোকান ঘরের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধে উভয় পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ২০১৮ সালের ১০ আগষ্ট তারিখে উভয় পক্ষের আপোষের মাধ্যমে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তক্রমে বড়ভাই মাহাফুজুর রহমান দোকান ঘরটির মূল্য বাবদ দশ লক্ষ টাকা তার ছোটভাই আবদুর রশিদকে প্রদান করে। এরপর থেকে মালুমঘাট বাজারের ওই দোকানে বিভিন্ন প্রকার মালামাল উত্তোলন করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছে বড়ভাই মাহাফুজুর রহমান।
সম্প্রতি, স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন ও কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ছোটভাই আবদুর রশিদের লোলুপ পড়ে আদালতের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়া ওই দোকানের প্রতি। তিনি ইতিপূর্বে আরো টাকা পাওনা রয়েছে দাবি করে বিভিন্ন সময় হামলার পায়তারা চালিয়েছিল। স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান এ বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসলে কাগজপত্র যাচাই করে তারা দোকান ঘরটির মালিক বড়ভাই মাহাফুজুর রহমনকে স্বীকৃতি দেয়।
সবকিছু তোয়াক্কা না করে ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যায় ডুলাহাজারার ক্রাইমজোন খ্যাত ডুমখালী এলাকার একদল সন্ত্রাসী নিয়ে ছোটভাই আবদুর রশিদ তার স্ত্রী রেহেনা আক্তারসহ অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দোকান ঘরটি জবর দখলে আসে। এসময় বড়ভাই মাহাফুজুর রহমান বাধা দিতে গেলে তাকে প্রচন্ড মারধর করে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ব্যপারে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বার শওকত আলী জানান, মালুমঘাট বাজারে একটি দোকানের বিষয়ে মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। তখন উভয়কে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বিরোধের ব্যপারে স্থানীয় লোকজন, পাশ্ববর্তী দোকানদারগণ ও জনপ্রতিনিধিরা অবগত আছে রয়েছে বলেও তিনি জানান।