সংবাদদাতা:
‘আমি মরে গেলে, আমার নিজ বসত ভিটায় আমাকে কবর দিবেন। এটি আমার বাপ দাদার বসত ভিটা। এখান থেকে আমাকে জীবত কেউ নিতে আসবেন না। এখন আমার সহায় সম্বল বলতে আর কিছুই নাই। যা আছে তাও রাগববোয়ালের কবলে পড়েছে। এখান থেকে আমাকে উদ্ধার করেন।’
কান্না জড়িত কন্ঠে কথা গুলো বলেছিলেন, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের তিতার পাড়ার ১০৮ বছর বয়সী গুলবাহার বেগম নামক এক বৃদ্ধ মহিলা।
ওই মহিলাটি জানান, তার মৃত মা আয়েশা বেগম ও তার স্বামী মোজাফফর আহমদের নামীয় সিএস, আর এস, ও এম আর আর, এর বিএস রেকর্ডীয় খতিয়ানে নির্দিষ্ট পরিমান জায়গা থাকলেও স্থানীয় একই এলাকার আয়াজ ও মোক্তার গংরা ওই বসত ভিটাটি বার বার জবর দখল করার কারণে তার জীবন এখন মারাত্মক হুমকির মুখে বলে জানান গোলবাহার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সমাজ সেবক জানান, কচ্ছপিয়া মৌজার বিএস ১১৫৮ নং এর খতিয়ানের রেকর্ডীয় জায়গাটির প্রকৃত অংশীদার ওই গোলবাহার। ওই জায়গায় তার বসতঘরও রয়েছে। অথচ এক শ্রেণীর প্রভাবশালী মহলের ইদ্দনে ওই বৃদ্ধার বসতঘরটি আয়াজ ও মোক্তার গংরা দখলে নিতে মরিয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। যার কারনে রামু থানায় একটি সাধারণ ডাইরীও করেছেন ভুক্তভোগী।

কচ্ছপিয়া গ্রাম আদালত সুত্রে জানা যায়, উল্লেখিত ঘটনায় মাস খানেক আগে গোলবাহার বেগম বাদী হয়ে গ্রাম আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ করেছিল। কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাইল নোমানের আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে ভুক্তভোগী গোলবাহার বেগমের পক্ষে রায় দেন। আর এই ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার সুপারিশ করেন।

এই ব্যাপারে গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়িঁর আইসি পরিদর্শক মোঃ আনিছুর রহমান ঘটনার বর্ননা দিয়ে জানান, তারা উভয় পক্ষ ফাঁড়িতে এসেছিল। এই ব্যাপারে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন বলে জানান পুলিশে এই কর্মকর্তা।