নিজস্ব প্রতিনিধি:

গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরিচ্যুত করার চক্রান্তসহ প্রথম ধাপে ১০ জনকে ছাঁটায়ের জের ধরে হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সালকে এসএ টেলিভিশন কার্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে টেলিভিশনটির সবগুলো বিভাগের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তাকে এসএ টিভি কার্যালয় ছেড়ে যেতে বাধ্য করেন।

এসময় তারা হেড অব নিউজ ফয়সালের কয়েকজন সহযোগির বিরুদ্ধেও শ্লোগান দেন। সেসময় এসএটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ বিক্ষুব্ধ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে তিনি বিষয়টির তাৎক্ষণিক সমাধান না করে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

অবশ্য ক’দিন আগ থেকেই প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে বৈঠকের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তিনি তাদের সময় দেননি। এরইমধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় সালাহ উদ্দিন আহমেদ তার গুলশানের বাসভবনে সিও ও খ ম হারুন, হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল এবং ভারপ্রাপ্ত হেড অব প্রোগ্রাম আশরাফ-উজ-জামান এবং প্রডিউসার কামরুজ্জামান (রঞ্জু)সহ কয়েকজনকে নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠকে বসেন।

অভিযোগ রয়েছে,প্রতিষ্ঠানটির ১৩০ জনকে চাকরিচ্যুত করার পরিকল্পনা গ্রহণসহ তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে দেন হেড অব নিউজ।

এরই ধারাবাহিকতায় এফপিসি পরিবর্তন এবং কর্মী ছাঁটাই পর্ব শুরু হয়েছে। প্রোগ্রামের ১০ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। প্রোগ্রাম হেড জিনাত জেরিন আলতাফকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। কর্মীদের দাবি, সব পরিকল্পনার মূলেই হেড অব নিউজ।

এরই মাঝে হেড অব নিউজের সব চক্রান্ত প্রকাশ পাওয়াসহ এমডির গুলশানের বাসভবনে রুদ্ধদার বৈঠকের খবরে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে ওঠে। সারাদিন অপেক্ষার পরও এমডির সাক্ষাত না পাওয়া গণমাধ্যমকর্মীরা অপেক্ষা করতে থাকেন।

এক পর্যায়ে রাত পৌনে ১০টার দিকে এমডি এবং হেড অব নিউজ এসএটিভি কার্যালয়ে আসেন। এরপর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা হেড অব নিউজের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। তখনই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে সব চক্রান্ত এবং চাকরিচ্যুত করার মূলেই তিনি বলে দায়ি করেন কর্মীরা।

হেড অব নিউজকে এসএটিভিতে আর দেখতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তখনই তাকে বের হয়ে যেতে বলেন তারা। কিন্তু তিনি সময় চেয়ে কালক্ষেপনের চেষ্টা করলে সবাই ধরে নিউজরুম থেকে নিয়ে গেটের বাইরে দিয়ে আসেন। এসময় সেখানে আসেন গুলশান থানার পুলিশ সদস্যরাও। তারা এসে গণমাধ্যমকর্মী এবং এমডির সঙ্গে কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীরা দাবি-দাওয়া আদায়ে সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে সাক্ষরিত চুক্তিভঙ্গের বিষয়টি তুলে ধরা ছাড়াও হেড অব নিউজের অনৈতিক কর্মকান্ড তুলে ধরেন। সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সমাধান করবেন বলেও ইঙ্গিত দেন।