মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম মুক্তারকুল কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কের ফজলিয়া হেফজ খানার পাশে বাগ্গুলার দোকানের নিকট ডাম্পার চাপায় নিহত হওয়া মেধাবী ছাত্র ইফরাদুর রহমান ফাহাদ ও হাজী আবুল বশেরের নামাজে জানাজা শুক্রবার ২৯ নভেম্বর সকাল ১০ টায় বাংলাবাজার ছুরতিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় সর্বস্থরের শোকাতুর মানুষের ঢল নামে। দু’জনের একত্রে পড়ানো জানাজায় ইমামতি করেন মুক্তারকুল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হেফাজতুর রহমান। বিষয়টি ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, জানাজার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সোলতান, জেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার জহির উদ্দিন, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিদারুল আলম চৌধুরী, মেম্বার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। জানাজা শেষে মুক্তারকুল ফজলিয়া দীঘির পাড় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মরহুমদ্বয়কে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাবাজার মোক্তারকুল গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাহবুব উল্লাহ’র পুত্র, খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ইফরাদুর রহমান ফাহাদ ও একই এলকার মৃত আলী আহমদের পুত্র হাজী আবুল বশর (৮১) কে বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর বিকেলে একটি বেপরোয়া গতিতে আসা ডাম্পার (মিনি ট্রাক) সড়ক থেকে খাদে পড়ে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই হাজী আবুল বশর নিহত হয়। অপরজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষনা করেন। এ দুর্ঘটনায় আরো ২ জন আহত হয়। এরমধ্যে গুরতর আহত অবস্থায় একই এলাকার মৃত আলী আজগরের পুত্র শামশুল আলম শহরের খতিব আল ফুয়াদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মেম্বার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন উদ্দিন সিবিএন-কে বলেন, বেপরোয়া গতিতে আসা ডাম্পার ট্রাকের চাপায় ২ জন নিহত হওয়ার খবরে উত্তেজিত জনতা এসে ডাম্পার ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন থেকে ভস্মীভূত ডাম্পার ট্রাকটি এখনো ঘটনাস্থলে রয়ে গেছে। জানা যায়, ঘাতক ডাম্পার ট্রাকটির কোন কাগজপত্র ও রেজিষ্ট্রেশন নেই। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এটি মহাসড়কে চলছিলো। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, সেখানকার একজন রাজনৈতিক নেতার এই ডাম্পার গাড়িগুলো কোন ডকুমেন্টস ছাড়াই মহাসড়কে হরদম চলছে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালক দ্বারা ডাম্পার ট্রাকগুলো চালানোর কারণে প্রায়সময় দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। উক্ত রাজনৈতিক নেতা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এভাবে মহাসড়কে বেপরোয়া ডাম্পার ট্রাক চালান বলে তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।