সিবিএন ডেস্ক:
ভারত সফরে এসে ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ায় জরিমানা দিতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্য সাইফ হাসানকে।
বাংলাদেশ দলের বাকিরা ফিরে গেলেও তাকে কলকাতায় থেকে যেতে হয়েছিল ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে।
কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের মাধ্যমে জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার পরে ভারত ছাড়ার ছাড়পত্র নিয়ে আজ বুধবার তিনি ঢাকা রওনা হচ্ছেন।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। বিমানবন্দরে যাওয়ার আগেই তিনি লক্ষ্য করেন যে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
ভারত সফরের আগে দলের বাকিদের যখন ভিসা করানো হয়, তার আগে থেকেই সাইফ হাসানের ভারতীয় ভিসা করানো ছিল কারণ তিনি কয়েক মাস আগে ভারতে গিয়েছিলেন। সেই ভিসার মেয়াদ যে দুদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে, সেটা কেউই খেয়াল করেন নি।
যখন বিষয়টা তার নজরে আসে, তারপর দলের ম্যানেজারকে জানাতেই তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসে যোগাযোগ করেন।
“দলের ম্যানেজার যখন আমাকে বিষয়টা জানান, তখনই আমরা কলকাতায় এফ আর আর ও-তে [বিদেশী রেজিস্ট্রেশন অফিস] যোগাযোগ করি। সেখানে অনলাইনে জরিমানার টাকা জমা করার পরে তারা মি. হাসানকে এক্সিট পার্মিট দিয়েছেন। সেটা নিয়ে তিনি বুধবার বিমান ধরবেন,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান।
উপদূতাবাসের সূত্রগুলো বলছে সাইফ হাসানকে জরিমানা হিসাবে জমা দিতে হয়েছে তিনশো মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করলে ২১ হাজার টাকার কিছুটা বেশি।
কলকাতা এফ আর আর ও-র ওয়েবসাইট জানাচ্ছে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন পর্যন্ত অতিরিক্ত থাকার জন্য তিনশো ডলার জরিমানা দিতে হয়, তবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে এই জরিমানার পরিমাণ মাত্র একশো টাকা।
কলকাতা বিমাবন্দরের ইমিগ্রেশনের সূত্রগুলি বলছে সাইফ হাসানকে বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয় বলে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, তা সঠিক নয়। তিনি বিমানবন্দরে আসার আগেই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ব্যাপারটা নজর করেন আর তার পরে কলকাতার বিদেশী নাগরিক রেজিস্ট্রেশন দপ্তরের মাধ্যমে ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
ওই সূত্রগুলি বলছে, “বাংলাদেশের জাতীয় দল খেলতে এসেছে ভারতে। এরকম দলের সদস্যকে বিমানবন্দরে আটকিয়ে রাখার প্রশ্নই ওঠে না।”
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।