রামু প্রতিনিধি :

রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নন্দাখালী বড়পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের স্থাপনা (প্রসাবখানা) ভাংচুর ও মুসল্লীদের উপর হামলার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল খায়ের)। রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে তিনি সেখানে যান। এসময় ওসি মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের আশ^াস দেন। পরিদর্শনকালে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, ইউপি সদস্য জসিমুল ইসলাম ও রশিদ মিয়া সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর এ ভাংচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে। ভাংচুরে বাধা দেয়া ভূমিগ্রাসী চক্রের বেপরোয়া হামলায় মসজিদ কমিটির সভাপতি সহ ৩ জন আহত হন। হামলাকারিরা মসজিদের পাকা স্থাপনা ভাংচুর করায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলার পর থেকে উল্টো হামলাকারিরা এ ঘটনার এলাকার নিরীহ লোকজনকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করার হুমকি দিচ্ছে।

এ ঘটনায় ওসি সুষ্ঠু সমাধানের আশ^াস দিলেও হামলায় নেতৃত্ব দেয়া ভূমিদস্যু কাশেম আলী এ ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। এসব সংবাদে স্থানীয় মুসল্লীদের ইয়াবা ব্যবসায়ি, বিএনপি-জামায়াত আখ্যা দিয়ে মানহানিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা নিয়ে এলাকার মুসল্লীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ক্ষুব্দ এলাকাবাসী বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

সম্প্রতি ওই এলাকার মৃত তমিম গোলালে ছেলে চিহ্নিত ভূমিদস্যু কাশেম আলী ও তার ছেলে রেজাউল করিম এবং জিয়াবুল করিম ভূট্টোর নেতৃত্বে নন্দাখালী বড় পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রসাবখানা ভেঙ্গে দেয়। ওই ঘটনায় গত ১৮ অক্টোবর মসজিদ কর্তৃপক্ষ রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমারা কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি বিচারাধিন থাকাকালেই কাশেম আলীর নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে নারী-পুরুষ লাটি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মসজিদের নবনির্মিত প্রসাবখানাটি ফের ভাংচুর শুরু করে। এসময় জুমার নামাজ পড়তে আসার মুসল্লীরা ভাংচুরের বাধা দিতে গেলে ভাংচুরকারিরা মুসল্লীদের উপর হামলা শুরু করে। বেপরোয়া হামলায় মুসল্লী সাদ্দাম হোসেন ও জাফর আলম গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন। এসময় উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে আসা মসজিদ কমিটির সভাপতি রশিদ আহমদকেও লাটি-সোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে কাশেম আলী ও তার সহযোগিরা।