সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁহঃ

কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের উত্তর গোমাতলী রাজঘাট পাড়া ফুলছড়ি নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিশ্চিহ্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এতে প্রায় ২০টি পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে এসব মানুষ চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায়শই ফুলছড়ি নদীর পানির স্রোতে রাজঘাট পাড়ার উত্তর পাশে মহুরীঘোনা এলাকায় একটি নতুন চর জেগে ওঠায় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে নদীর দক্ষিন পাড়ে রাজঘাটের ভাঙ্গণের তীব্রতা বাড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ দিন দিন অব্যাহত ভাঙ্গনে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফুলছড়ি নদীর দক্ষিন পাশে রাজঘাট জামে মসজিদ, এলাকার একমাত্র কবরস্থান, গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের সমিতির অফিস ও রাজঘাট জেটি নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে বর্তমানে হুমকীর মুখে।
প্রায় অর্ধ কিলোমিটার ব্যাপী ভাঙ্গনের কবলে পাল্টে যাচ্ছে গোমাতলী রাজঘাটের মানচিত্র ।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ,
ফুলছড়ি নদীর উত্তর দিকে চকরিয়া উপজেলার মহুরীঘোনা। সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা রাজঘাট।
পূর্বে সদর উপজেলার ইসলামপুর ও পশ্চিমে ফুলছড়ি নদী মহেশখালী চ্যানেলের সাথে প্রবাহমান ।
যার কারনে বঙ্গোপসাগরের সাথে প্রবাহিত ফুলছড়ি নদীর স্রোত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চকরিয়া থানা এলাকা মহুরীঘোনার দিকে চর জেগে উঠায় নদীর স্রোত পরিবর্তিত হয়ে দক্ষিণ দিকে রাজঘাট পাড়া দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
এ কারণে রাজঘাট জনপদের ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
ভাঙ্গনের কারনে রাজঘাট গ্রামের বেশ ক’টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নুরুল আজিম বলেন, সরকারের অতিশীঘ্রই রাজঘাট রক্ষা তথা মসজিদ, কবরস্থান রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার। তা না হলে নদীতে যেভাবে ভেঙ্গে যাচ্ছে ২/১ বছরের মধ্যে রাজঘাটের অস্থিত্ব কিছুই থাকবে না।
রাজঘাট জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ ইউসুফ বলেন, গ্রামের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী রাজঘাট মসজিদ কিছু দিনের মধ্যে ফুলছড়ি নদীর গর্ভে হারিয়ে যাবে।
পোকখালী ৭ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি নুরুল হুদা সওদাগর বলেন, রাজঘাটপাড়া, জেটি, কবরস্থান, মসজিদ রক্ষার জন্য সরকারের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
ভাঙ্গন কবলিত রাজঘাট এলাকার বাসিন্দা সমাজসেবক হাবিবুর রহমান বলেন , আমরা অরক্ষিত অবস্থায় আছি।
এ ব্যাপারে সরকার যদি শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এর অস্থিত্ব হারিয়ে যাবে ।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, নদী ভাঙ্গন এলাকার খোঁজ-খবর নিয়ে ভাঙ্গনরোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে পত্র পাঠানো হবে। প্রয়োজীয় অর্থ বরাদ্ধ পেলে ভাঙ্গনরোধে কাজ করা হবে।