চকরিয়া সংবাদদাতাঃ
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নামে-বেনামে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে কমিটির সদস্যরা ও অভিভাবকরা বাদী হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান ও পরদির্শক বরাবরে গত ২৫ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

কমিটির সদস্য মনজুর আলম, অভিভাবক সদস্য মোঃ আইয়ুব, মোঃ খলিল, মৌং শব্বির আহমদ ওসমানি, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নুরুল আমিন চৌধুরী, দাতা সদস্য আবদুল হাকিম চেয়ারম্যান, সাবেক অভিভাবক সদস্য কাইছারুল ইসলাম, সাবেক অভিভাবক সদস্য ও ইউপি মেম্বার সাহাব উদ্দিন, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় জুনাইদুল হক অভিযোগে স্বাক্ষর করেন।

অভিযোগে জানানো হয়েছে, উন্নয়ন খাতে বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরম ফি, উপবৃত্তিভোগী শিক্ষার্থী ব্যতিত অবশিষ্ট শিক্ষার্থীদের মাসিক ফি, পরীক্ষার ফি, সিলেবাস ফি, জেএসসি ও নবম শ্রেণির রেজিষ্ট্রেশন ফি, এসএসসি ফরম পূরণ ফি, কেন্দ্র ফি, শিক্ষার্থীদের সনদ ফি, বিদ্যালয়ের নামীয় দোকান ঘরের ভাড়া, ধানী জমির লাগিয়ত, নিয়োগ বাবৎ আয়, পুরাতন বই, খাতা ও অকেজো আসবাবপত্র বিক্রিয় বাবৎ আয়, ভর্তি ফি: মাসিক ফি: ছাড়া বাকি উৎসের আয়ের জমা রশিদ করা হয়না। বিদ্যালয়ের ব্যয় খাতে শিক্ষকগনের প্রাতিষ্ঠানিক বেতন, উন্নয়ন মেরামত, পরীক্ষার খরচ, কেন্দ্র খরচ, বোর্ড খরচ, জাতীয় দিবসের খরচ, বই পরিবহন, পেপার ক্রয়, খাজনা, নিয়োগ, প্রচার, ক্রীড়া, বিদ্যুৎবিল। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের এককভাবে যাতায়াত, আপ্যায়ন, আনুসাঙ্গিক অফিস খরচ, মোবাইল খরচ বাবৎ বিল-ভাওচার ছাড়া অনঅনুমোদিত বিশাল অংকের অর্থ ব্যয় করে বিদ্যালয়ের ফান্ড নি:স্ব করে দেওয়া হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম নিয়ম বিধি লঙ্গন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছেন। তার হাতে বিদ্যালয়ের নগদ ৫ হাজার টাকা রাখার নিয়ম থাকলেও তিনি অনঅনুমোদিত ও নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজ হেফাজতে নগদে ৫ লক্ষাধিক টাকার উপর রেখে নামে-বেনামে খরচ ও আত্মসাত করে চলছেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর-নভেম্বর বিদ্যালয়ের নামীয় ব্যাংক হিসাব থেকে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে বিল-ভাওচার ছাড়াই আত্মসাত করেন। এভাবে বিগত সময়ে প্রধান শিক্ষক ৬০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের নামীয় জায়গায় চলমান রেললাইন নির্মাণ কাজের জমির অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনের জন্য প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতি মহসিন বাবুল দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু অদ্যবধি বিদ্যালয়ের ফান্ডে ক্ষতিপূরণের টাকা জমা হয়নি। কমিটির মেয়র শেষ পর্যায়ে চলে যাওয়ায় তড়িগড়ি করে এডহক কমিটির পায়তারা চালাচ্ছে। অভিযোগে তারা দূর্নীতি পরায়ন অধ্যক্ষের অপরাসরণ ও শাস্তির দাবী করেন এবং মেয়াদ শেষপ্রাান্তে থাকা কমিটির নিয়মমোতাবেক দ্রুত নির্বাচন দাবী করেন।

এদিকে গত ১৭ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত কোম্পানীর প্রতিনিধি ও টীম প্রধান বিদ্যালয়ে সরে জমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেন এবং বর্তমানেও উক্ত টীম চকরিয়ায় অবস্থান করে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।