মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মহেশখালী। মিষ্টি পানের এলাকা হিসাবে বিখ্যাত। শুঠকী, সামুদ্রিক মৎস্য, কালো স্বর্ণ খ্যাত চিংড়ি, লবণ, ঐতিহাসিক আদিনাথ মন্দির সহ অনেক কিছুর জন্য পরিচিত। বাংলাদেশের একমাত্র চতুর্দিকে বঙ্গোপসাগর পরিবেষ্টিত পাহাড়ি দ্বীপ।

এই মহেশখালী দ্বীপের উপকূলে বিশেষ এক ধরনের ঝিনুক রয়েছে। যেসব ঝিনুকের ভেতরে থাকে মুক্তা। এই ঝিনুকের কারণে মহেশখালীকে বলা হয়, ‘মুক্তার দ্বীপ মহেশখালী’।

মিষ্টি পানের এলাকা মহেশখালী, মুক্তার দ্বীপ মহেশখালী, কালো স্বর্ণ চিংড়ির এলাকা মহেশখালী সবকিছুকেই ম্লান করে দিয়েছে, সেখানকার জলদস্যু, সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী, অস্ত্রের কারিগর সহ জগণ্য কূখ্যাত অপরাধীরা। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা পুলিশের প্রধান হয়ে এ.বি.এম মাসুদ হোসেন কক্সবাজারে আসার পর থেকে চিন্তা করতে থাকে, কিভাবে এই স্বর্ণদ্বীপ খ্যাত মহেশখালী উপজেলাকে জলদস্যু ও সন্ত্রাস মুক্ত করা যায়। এরই প্রেক্ষিতে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া সমুদ্র উপকূলকে জলদস্যু মুক্ত করতে চালানো হয় সাড়াষী অভিযান। অভিযানের ক্ষিপ্রতায় থাকতে না পেরে জলদস্যুরা রাষ্ট্রের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করে। এরই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র জলদস্যুদের সুযোগ দেয় আত্মসমর্পণের। গত বছরের ২০ অক্টোবর মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে ৪৩ জন জলদস্যু। তাদের অবৈধ অস্ত্র জমা দেয় রাষ্ট্রের কাছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জেলে পাঠায়। জেলে যাওয়ার আগেই এসব জলদস্যুদের পরিবারের জন্য ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ দেওয়া হয়। এসব জলদস্যু জেলে থাকাবস্থায় ৪৩ জন জলদস্যুর প্রত্যেকের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে আবারো নগদ অর্থ দেওয়া হয়। পূর্ণবাসিত করা হয় সকল জলদস্যুর পরিবারকে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা করে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা থেকে আইনী প্রক্রিয়ায় জামিন নিয়ে দেয়া হয়। তাদের প্রত্যেকে এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে স্বাচ্ছন্দ্যে বিভিন্নভাবে জীবীকা নির্বাহ করে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটাচ্ছে সুখে শান্তিতে। সাধারণত যেকোন বৈপরীত প্রক্রিয়ায় ডিপ্লোম্যাসি করতে হয়, তৃতীয় পক্ষকে। এখানেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের মালেকপাড়ার সন্তান, চ্যানেল-২৪ এর তৎকালীন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এম.এম আকরাম হোসাইন নেমে পড়েন এই বিশাল ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। কোন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়, দেশ মাতৃকার শান্তি দেখে তৃপ্তি পাওয়ার অদম্য নেশায়। অপ্রতিরোধ্য অভিযানে সফল হন, কক্সবাজারের ভূমি পুত্র এম.এম আকরাম হোসাইন। সেদিন ৪৩ জন আত্মসমর্পণকারী সশস্ত্র জলদস্যুর মধ্যে ৩৭ জন তার তৎপরতায় সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করে।

কিন্তু এ ৪৩ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেও রয়ে গেছে আরো অনেক জলদস্যু, সন্ত্রাসী ও অস্ত্র তৈরীর কারিগর, দাগী পলাতক আসামী। যাদের ভয়ংকর তৎপরতায় গোলাবারুদের গন্ধে দুর্বিসহ হয়ে উঠে মুক্তার দ্বীপ মহেশখালীর মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রতিনিয়ত খুন, রাহাজানি, ডাকাতি, অপহরণ, সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ভয় যেন এখানকার মানুষের পিছু ছাড়েনা। যেন অপরাধের একটা স্বর্গরাজ্য। এসব অন্ধকার জগতের লোকজন একের পর এক খুন-খরাবী করতে করতে জীবনের মায়া তারা অনেকটা ভুলে গেছে। পরিবার স্বজন আছে কিনা অনেকের মনেও নেই। কেউ বংশগত শত্রুতা, কেউ সহায় সম্পত্তি ভোগ দখল নিয়ে শত্রুতা, কেউ খুনের বদলা খুন, কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার শত্রুতা, কেউ প্রতিশোধ পরায়ণাতা, কেউ বা আধিপত্য বিস্তারের জন্য অন্ধকার জগতে গিয়ে আর ফেরত আসার সুযোগ হয়নি। অন্ধকার জগত থেকে ফেরত আসলেও তাদেরকে অবশ্যই জীবনের মায়া ছেড়ে দিয়েই আসতে হবে। কারণ তারা প্রভাবশালী গডফাদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এভাবে দিন দিন তারা বনের পশুর চেয়েও অনেক বেশী হিংস্র হয়ে উঠে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের সেই কর্ণধার এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম আবারো উৎকন্ঠিত হয়ে উঠেন। চিন্তিত হয়ে পড়েন, কিভাবে মিষ্টি পানের এলাকা, মুক্তা ঝিনুকের এলাকা অশান্ত মহেশখালীকে শান্ত করা যায়। কক্সবাজার জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে হলেও অপরাধ জগতের তীর্থভূমি মহেশখালী উপজেলার সাধারণ মানুষকে অপরাধীদের জিম্মি দশা থেকে মুক্তি দিতেই হবে। সে লক্ষ্য যেন আর সময়ক্ষেপন করতে চায়না। গত ৪/৫ মাস আগে শুরু করেন, অভিযান। হার না মানা যে অভিযানে কোনভাবেই পরাজয় স্বীকার করা যাবেনা, থামা যাবেনা। কক্সবাজার জেলা পুলিশের একের পর এক আইনী হুংকার জলদস্যুদের আস্তানা, গভীর সমুদ্র, গহীন অরণ্য সহ অন্ধকার জগতের সবখানে পৌঁছে যায়। অসহায় ও চিন্তিত হয়ে পড়ে জলদস্যুর বাহিনী প্রধান, সদস্য, অস্ত্রের শীর্ষ কারিগর, সশস্ত্র সন্ত্রাসী সহ সেখানকার অপরাধ জগতে সক্রিয় থাকা সকলে। তাদের মদদ দেওয়া গডফাদারের পরামর্শও যেন অপরাধীদের আর কাজে আসছেনা। এ অবস্থায় তাদের বুঝাতে আবারো নেমে পড়েন গণমাধ্যম কর্মী এম.এম আকরাম হোসাইন। ঝুঁকি নয়, যেন মহাঝুঁকি। তারপরও মিশন ফেল করা যাবেনা। জেলার আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাঁকে সহযোগিতা ও উৎসাহিত করছে। একদিকে, কক্সবাজার জেলা পুলিশের অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা, অন্যদিকে, আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রেরণা। কোনঠাসা হয়ে পড়া জলদস্যু, অস্ত্রের শীর্ষ কারিগর, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আত্মসমর্পণের জন্য ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে উঠে। সে আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে আনন্দ টিভি’র চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এম.এম আকরাম হোসাইন জেলা পুলিশের আন্তরিক সহযোগিতায় আগ্রহীদের ক্রমান্বয়ে তাঁর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এভাবে হাঁটি হাঁটি পা পা করে ২৩ নভেম্বর শনিবার ভোর পর্যন্ত তিনি ৯৬ জন জলদস্যু, অস্ত্রের কারিগর, দাগী পলাতক আসামীকে তার নিয়ন্ত্রণে এনে কক্সবাজার জেলা পুলিশকে আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দেন। জমাদেন, তাদের ব্যবহৃত ১৫৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র, শত শত গোলা বারুদ, অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম ও লেদ মেশিনের মতো বিশাল আকৃতির ভারী যন্ত্র।

আত্মসমর্পণকারীদের একাংশ। ছবি- হারুনর রশীদ।

তার আগে দেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুরোধা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রধান আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম এর সাথে পরামর্শ করে তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা নেওয়া হয়। তাঁরা উৎসাহ দেন কক্সবাজার জেলা পুলিশেকে। দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ে নির্ভয়ে এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগান তাঁরা। এরই ফলশ্রুতিতে মুক্তার দ্বীপ মহেশখালীর সাধারণ মানুষকে অপরাধ জগতের লোকজনের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিতে ২৩ নভেম্বর শনিবার কালামারছরা ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এর সভাপতিত্বে আয়োজন করা হয়, বিশাল ও বর্ণাঢ্য আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের। যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রধান অতিথি হিসাবে, বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) গেস্ট অব অনার হিসাবে, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম, কক্সবাজার-১,২ ও ৩ আসনের সংসদ সদস্য ত্রয় যথাক্রমে জাফর আলম, আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার (উপসচিব), কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে মর্যাদাবান করেছেন। সৃষ্টি করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের ইতিহাসে মুক্তা খচিত সাফল্যের এক নতুন অধ্যায়। যে অধ্যায় সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উম্মোচন করেছে। যেখানে রয়েছে শুধু অশান্ত মহেশখালী উপজেলা নয়, পুরো কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে শান্ত করার নতুন হাতছানি। যে মহেশখালীর কালারমার ছরায় যাদের নাম ভয়ে উচ্চারণ করা যেতোনা, ২৩ নভেম্বর শনিবার সেরকম হাজার হাজার সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হওয়ায় তারা বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছে। এখানকার মানুষের অন্যান্য সময়ের আতংকিত মুখগুলো সমাবেশের সময় যেন পূর্ণিমার চাঁদের মতোই জ্বল জ্বল করছিলো। তারা পূর্বে কখনো বিশ্বাসই করতে চায়নি, মানুষখেকো গভীর জলের হিংস্র কুমির গুলোকে ডাঙ্গায় আনা যাবে। কিন্তু কক্সবাজার জেলা পুলিশ সততা, দক্ষতা, দূরদর্শিতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে সে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। মহেশখালীগতে বাস্তবায়নাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলপিজি টার্মিনাল, গভীর সমুদ্র বন্দর, ধলঘাটা অর্থনৈতিক অঞ্চল সহ সরকারের মেগা উন্নয়ন প্রকল্প গুলো এখন কিছুটা হলেও রাহুমুক্ত।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের এ সাফল্য গাঁথা, এ বিশাল অর্জনে তাঁরা কিন্তু পরিপূর্ণ তৃপ্ত হয়নি। সমুদ্রে, গভীর জঙ্গলে, পাহাড়ে, প্যারাবনে এখনো যেসব জলদস্যু রয়েছে, তারা অবিলম্বে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার লক্ষ্যে রাষ্ট্রের কাছে আত্মসমর্পণ না করলে, তাদের আইনের ভয়াবহ পরিণতি উপভোগ করতে হবে বলে ২৩ নভেম্বরের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্থর থেকে হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছে। এ হুশিয়ারিতে যারা সমুদ্র উপকূলে অপরাধ জগতে থেকে এখনো আত্মসমর্পণ করেনি তারা এবং তাদের নাটের গুরু গডফাদারেরা উদ্বিগ্ন ও আতংকিত হয়ে পড়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে, আইনের দীর্ঘ হাত থেকে বাঁচতে চাইলে রাষ্ট্রের আহবানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ পূর্বক স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো গন্ত্যান্তর নেই। একইভাবে যারা ২৩ নভেম্বর আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে প্রাথমিকভাবে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে তাৎক্ষণিক অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের বিভিন্নভাবে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে রাষ্ট্রের পক্ষে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে এই দৃষ্টান্ত স্থাপনের পেছনে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন (বিপিএম) এর সাথে আরো যাঁরা নিরলসভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজোয়ান আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নিহাদ আদনান তাইয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আদিবুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (মহেশখালী সার্কেল) রতন চন্দ্র দাশ গুপ্ত, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক বিভাগ) বাবুল চন্দ্র বণিক, গণমাধ্যম কর্মী এম.এম আকরাম হোসাইন, মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর, চকরিয়া মডেল থানার ওসি হাবিবুর রহমান সহ জেলা পুলিশের একদল দৃঢ় মনোবল সম্পন্ন আত্মপ্রত্যয়ী কর্মকর্তা ও সদস্য। যাদের নিরন্তর সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল ভুমিকা একাজের সফলতা এনে দিয়েছে জেলা পুলিশকে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুক্তা খচিত এই সমৃদ্ধ ইতিহাস সৃষ্টির মুহুর্তে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এর কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি সিবিএন-কে মহান আল্লাহতায়লার কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে এজন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার), পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম সহ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কক্সবাজার জেলা পুলিশকে দিক নির্দেশনা ও উৎসাহ না দিলে এ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা কখনো সম্ভব হতোনা। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এজন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল সদস্য, মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন, কালারমারছরা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।