নিজস্ব প্রতিবেদক:

আন্তর্জাতিক মুসলিম-বৌদ্ধ ফোরাম নেতৃবৃন্দরা বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে যে সমস্ত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের কারণে স্থানীয়রা অনেকটায় সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। এতে তারা খুবই বেকায়দায় রয়েছেন এবং বর্তমানে নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। বিশেষ করে অনেক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে মিশে যাওয়ায় সম সময় সংঘাত সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। এতে করে অনেক গোষ্টি ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ধর্ম সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে একে অপরের সাথে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য ধর্মীয় নেতাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে হবে’।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টারদিকে কক্সবাজার শহরের একটি অভিজাত হোটেলে সম্মেলন শেষে এক প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানানো হয়।

বক্তারা আরো বলেছেন, ‘বিশে^ ধর্মীয় শান্তি রক্ষায় ন্যায়-পরায়ন একটা সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে যেতে হবে। জাতিগতভাবে বিভিন্ন সময়ে না বুঝে অনেকেই ঘৃণ্যকাজে জড়িয়ে পড়ে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে। এ লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে এই আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ-মুসলিম ফোরাম। আমরা সারাবিশ্বে দেখেছি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সব সময় নির্যাতনের শিকার হয় এবং আতংকে থাকেন। এজন্য এক ধর্মের লোক অপর ধর্মের লোকদের ধর্ম সম্পর্কে বুঝানো দরকার। এসব সমস্যাকে থেকে প্রতিকার পেতে হলে স্ব-স্ব অবস্থানের ধর্মীয় নেতাদের একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে’।

আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ-মুসলিম ফোরাম আয়োজিত দুইদিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনের সারাবিশে^র ২০টি দেশের ধর্মীয় নেতারা অংশ নেয়। এতে বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলংকা, ভারত, চীন, জাপান, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার প্রায় অর্ধশতাধিক ধর্মীয় নেতারা অংশ নেয়। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে প্রিন্সিপাল সুকুমল বড়ুয়া, প্রফেসর ড. আবু বক্কর, প্রফেসর রনজিদ কুমার দে, প্রফেসর প্রবাধ চন্দ্র বড়–য়া ও ইসলামী ফাউন্ডেশন কক্সবাজারের পরিচালক ফাহামিদা বেগম সহ ধর্মীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।