কামাল হোসেন,রামু :
রামু উপজেলর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ার ঘোনা এলাকায় কানারাজার সুড়ঙ্গে আনন্দ উৎসব করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
২২ নভেম্বর (শুক্রবার) সমাজসেবক মোহা: আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন এই আনন্দ উৎসবের আয়োজন করেন। কানারাজার সুড়ঙ্গ বা আঁধার মানিক নতুন করে উন্মোচন হওয়াতে উখিয়ার ঘোনা এলাকার জনসাধারনের মাঝে উৎসবে আমেজ বিরাজ করছে।শুরু হয়েছে নানান জল্পনা কল্পনাসহ ভবিষ্যত পরিকল্পনা।উখিয়ার ঘোনা পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার আনন্দে এলাকাবাসী স্বপ্রনোদিত হয়ে এই আনন্দ উৎসবের আয়োজন করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা তরুন সমাজসেবক মোহা: আব্দুল্লাহ  কফিল উদ্দিন জানান,উখিয়ারঘোনায় বর্তমানে নবদিগন্তের সুচনা হয়েছে।এলাকর
সন্তান হিসেবে আমরা গর্ববোধ করছি।এই ঐতিহাসিক সুড়ঙ্গের ব্যাপ্তি এখন আর দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত এখানে আসতে শুরু করেছে দেশি-বিদেশি পর্যটক।বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সাথে আমাদের বন্ধন তৈরি হচ্ছে।এটি আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।এই খুশিতেই আজকের এই আনন্দ উৎসব। মনিরী স্যার,রানা ভাই,সোয়েব ভাই,কামাল ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা।ওনারা গণমাধ্যেমে তুলে না ধরলে ঐতিহাসিক এই সুড়ঙ্গটি আঁধারেই রইয়ে যেতো। এলাকাবাসীর আমন্ত্রনে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল
ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের জরিপ ও অনুসন্ধান দলও উক্ত আনন্দ উৎসব ও মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহনের করেন।জরিপ দলের সাথে আরো ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক এম. সুলতান আহামদ মনিরী, সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ,শিশুসাহিত্যিক কামাল হোসেন,সমাজসেবক সুমত বড়ুয়া, ছাত্র নেতা আব্দুল হাকিম হিমেল,গিয়াস উদ্দিন রুবেল প্রমুখ। রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজলে সাথে ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহিম,আবুল কালাম সিকদার,জসিম উদ্দিন ভরসা,তারেক আহামদ,ওবাইদুল হক সহ আরো অনেকে।

রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন,আমি প্রথম বারের মতো কানারাজার সুড়ঙ্গে এসেছি।এটি সত্যিই রোমাঞ্চকর।এই সুড়ঙ্গ নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন আছে।উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার পাশাপশি ঐতিহাসিক এই সুড়ঙ্গের গুরুত্ব সরকারের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাকে আমন্ত্রন করে এরকম একটি ঐতিহাসিক জায়গা দেখার
সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড.মোঃ আতাউর রহমান বলেন,রামুতে অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া
গেছে।তৎমধ্যে কানারাজার সুড়ঙ্গটি অনন্য।এই সুড়ঙ্গটি খনন করলে বেরিয়ে আসতে পারে মুল্যবান নিদর্শন।আমরা যখন এখানে পৌছাতে পেরেছি ইনশাল্লাহ এরপরে এখানে অনেক উন্নয়নমুলক কাজ হবে। আর আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।অত্র এলাকার মানুষের সহযোগীতা ও আতিথিয়তায় আমরা সত্যিই মুগ্ধ। কবি প্রাবন্ধিক এম.সুলতান আহামদ মনিরী বলেন,দীর্ঘ এক যুগ ধরে এই সুড়ঙ্গ নিয়ে লিখছি।জীবনের শেষ পর্যায়ে হলেও এর বাস্তবায়ন হচ্ছে দেখে আমি অভিভূত।এলাকা বাসীও এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছে দেখে খুশি লাগছে।

উল্লেখ্য গত ১৬ নভেম্বর কক্সবাজারের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান কাজের উদ্বোধন হয় এই কানারাজার সুড়ঙ্গ চত্ত্বরে।প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত হয়ে এ জরিপ ও অনুসন্ধান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব জাকির হোসেন।