হাবিবুর রহমান সোহেল :

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে পুকুর ডুবে এক কলেজ ছাত্রের মত্যু হয়েছে। তার নাম মাে: ইব্রাহিম (১৮)। পিতার নাম জাফর আলম। স ইউনিয়নর তুলাতলী গ্রামের (বিডিআর ক্যাম্প এলাকার) বাসিন্দা। ইব্রাহিম নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এমএ কালাম ডিগ্রি কলজর প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী। নিহতর পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল ২২ নভম্বর শুক্রবার সকাল সাড় ১১ টায় ইব্রাহিম তার বাড়ির পুকুর গাসল করত নাম। এ সময় তার নানী রৌশন আক্তার সহ দু’জন মহিলাও একই ঘাটে গাসল করছিলাে। ঠিক এ সময় নিচু প্রায় পুকুরের পাড় থেকে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে ডুব দেয়। সাতাঁর জানা এ ছাত্র বেশ সময় ধের ডুবে থাকে এবং উপরে না উঠায় নানী রৌশন আক্তার নাতির দুষ্টামি বলে অপর মেয়েটির সাথে শেয়ার কর। এরই মধ্য পানির ভেতর থেকে নানী রৌশনের পায়ে কে যেন ধরছে অনূভূত হওয়ায়-নাতীর দুষ্টামির জন্য বকা-সকা কর তাকে। নানী রৌশন আক্তার জানান,সে এক পর্যায়ে তার মেয়ে আর মাে: ইব্রাহিমের মা রহিমা কে ডাক দেয় এই বল,‘তর পুয়া আঁর ঠং ধরেদ্দে’। এভাব বার বার ডাক দেয়ায় রহিমা এসে পুকুরে নেমে দেখে তার ছেলে নানীর পা ধরছিলাে না। বরং সে অজ্ঞান হয় পড়ে আছে মাত্র সাড়ে ৩ ফুট পানির নিচে। এ অবস্থা দেখে সবাই কান্নায় ভঙ্গে পড়ে। সকলে ধরাধরি করে পুকুর থেকে তুলে বাড়ির উঠানে শােয়ায় ইব্রাহিমকে। অবস্থা বগতিক দেখে তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল নিয়ে যায় প্রথমে। পরে কক্সবাজার হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘােষনা করে। এজন্য এলাকার অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি শােক সমÍপ্ত পরিবারর প্রতি সমবেদনা জানান। ঘটনাস্থল রামু থানা পুলিশ পরিদর্শন করেন। এদিক কলেজের মেধাবী ছাত্র মাে: ইব্রাহিমর অকাল মত্যুতে নাইক্ষ্যংছড়ি ও কচ্ছপিয়া জুড়ে শােকর ছাঁয়া নেমে আসে।