নিজস্ব প্রতিবেদক:
আমি কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ছিলাম। নেতাকর্মীদের পরামর্শে গত ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদনে নির্বাচন করি। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেবের পছন্দের প্রার্থী রহমত উল্লাহতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আমিসহ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা বিতর্কিত এই কাউন্সিল মানেনা। দলের স্বার্থে পুনঃকাউন্সিলর দাবী করছি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কথাগুলো বলেছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ শাহেদ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পন্থায় নেতৃত্ব নির্বাচনের পরিবর্তে তিনি নিজেই ব্যালটে সীল মেরে ভোট কারচুপি করেছেন। প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন কাউন্সিলকে।
মোঃ শাহেদ বলেন, ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তালিকায় রয়েছে ১৬৮ জন। সেখান থেকে ৫ জন প্রবাসে থাকে। বাকি কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬৩ জন। কিন্তু ভোট কাস্ট হয়েছে ১৭১ টি। অতিরিক্ত ৮টি ভোট কোথা থেকে পড়লো? তাছাড়া আমি ও অপর প্রার্থী রহমত উল্লাহ সমান ৬৫ ভোট পাই। কিন্তু উপজেলা সভাপতি আবু তালেব ‘সম্মনি ভোট’ বলে নিজেই আরেকটি ভোট দিয়ে রহমত উল্লাহতে বিজয়ী ঘোষণা দেন।
প্রশ্ন হলো- কাউন্সিলর না হয়ে ভোট কিভাবে দিলেন? এরকম সাংবিধানিক কোন সুযোগ আছে কিনা?
আমি যতটুকু জেনেছি, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে মোটা অংকের টাকার লেনদেন হয়েছে। তা না হলে কারো মতামত না নিয়ে এমন নগ্ন হস্তক্ষেপ করতেন না উপজেলা সভাপতি। সঠিক পন্থায় নেতৃত্ব নির্বাচন না করে তিনি নিজেই বিতর্ক জন্ম দিলেন।
আমি মনে করি, বিগত উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কাইছারুল হক জুয়েলের পক্ষে থাকায় আমাদেরকে এভাবে বিভিন্ন পদপদবী থেকে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। ওই নির্বাচনে আবু তালেবের ভূমিকা নিয়ে নানা বিতর্ক মাঠে রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে রহমত উল্লাহ ৬৫, শাহেদ ৬১ ভোট পেয়েছেন। এখানে অনিয়ম-কারচুপির কিছুই নেই। কাউন্সিলের জন্য আলাদা টিম করে দেয়া হয়েছে। তারা যাচাই বাছাই করে ইয়াবা ও অস্ত্র মামলার আসামী হওয়ায় ২ জনের প্রার্থীতা বাতিল করেছেন। প্রতি ওয়ার্ডে ব্যালটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন হয়েছে।
তিনি বলেন, পত্রিকায় সংবাদ ছেপে তো সমাধান নয়। অভিযোগ থাকলে দলের নেতাদের জানাতে হবে। আমাকে শোকজ করলে জবাব দেব। আমি কোন ওয়ার্ডের কাউন্সিলে হস্তক্ষেপ করিনি। কারো উস্কানিতে এসব করছে।