এম.কলিম উল্লাহ, উখিয়াঃ

বৃহত্তর পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছরের ন্যায় নূরানী শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে আয়োজিত নূরানী শিক্ষা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মরিচ্যা চেকপোস্ট আল হাসান মাদ্রাসার মাঠে উখিয়া উপজেলার প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা মুশতাক আহমদ এর সভাপতিত্বে কারী আবু নাসের এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুফতি আব্দুল গফুর নাদীম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হাফেজ মাওলানা ফরিদুল আলম তৌহিদী।
উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা হাফেজ ইয়াকুব, মাওলানা মোহাম্মদ খালেদ, মাওঃ হাফেজ মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আলী হোছাইন, মাওঃ হাফেজ নুরুল হক, হাফেজ রেজাউল করিম, মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াছিন, মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, মাওঃহাফেজ ইকবাল হোছাইন, মাওঃ হাফেজ কামাল উদ্দিন, জনাব নুরুল ইসলাম, জনাব হাজ্বী রশিদ আহমদ সওঃ।
পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথি, নূরানী মাদ্রাসা শিক্ষার হার পরিবর্তনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে মন্তব্য করে বলেন, নুরানী শিক্ষার্থীদের হাতের লিখা ও পড়ার বৈশিষ্টই আলাদা তাই সরকারী প্রাইমারী স্কুলের পাশাপাশি উখিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা হিসাবে নুরানীর গুরুত্ব অভিভাবক মহল উপলদ্ধি করছে। ফলে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে নুরানী মাদরাসার গ্রহন যোগ্যতা যেমন বাড়ছে তেমনি শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষা ও বাস্তব শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে।
নুরানী মাদরাসাকে অবহেলা না করে সামাজিকভাবে আরো গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থা ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ও খুনিয়া পালং ইউনিয়ন সহ মোট ৬টি ইউনিয়নের সবকটি নূরানী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই নূরানী শিক্ষা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এবছর বিশেষ কারণে শুধু হলদিয়া পালং ও খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ১৯টি নূরানী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে (কুরআন নাজের ও হিফজ,হাদীস শরীফ,
ইসলামি সংগীত ও বাংলা বক্তব্য) এই ৪টি বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১৯ টি প্রতিষ্ঠানের ১২ টি প্রতিষ্ঠান বিশেষ পুরস্কার প্রাপ্ত হয়।
এতে ১ম স্থান অধিকার করেন, হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসা,মরিচ্যা।
২য় স্থান অধিকার করেন মোট ৪টি মাদ্রাসা,
১. রহমানিয়া তালিমুল কুরআন কালুয়ার খলা,রাবেতা।
২. দারুল কুরআন মাদ্রাসা হলদিয়া পালং।
৩. তাজবীদুল কুরআন মাদ্রাসা, পাগলির বিল,মরিচ্যা।
৪. ওসমান বিন আফফান (রাঃ)মাদ্রাসা,পশ্চিম হলদিয়া পালং, মরিচ্যা।
৩য় স্থান অধিকার করেন মোট ৮টি প্রতিষ্ঠান,
১. মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা, ছাদির কাটা, রাবেতা,রামু।
২. দাওয়াতুল হক মাদ্রাসা, হলদিয়া পালং, মরিচ্যা।
৩. বায়তুশ শরফ আজিজুল উলুম মাদ্রাসা, রত্না পালং।
৪. মাদ্রাসা ইসলামীয়া আরবিয়া আল-হাসান, ধেছুয়া পালং, রামু।
৫. আজিজিয়া সুলতানুল উলুম মাদ্রাসা,আমতলী,
ভালুকিয়া পালং।
৬. মারকাযুল উলুম মাদ্রাসা,ধোয়া পালং, রাবেতা,রামু।
৭. আল-হোছাইন আদর্শ নূরানী একাডেমী, পূর্ব ধেছুয়া পালং।
৮. দারুল উলুম মাদ্রাসা দারিয়ার দীঘি, রাবেতা,রামু।
আর বাকীরাও ভাল রেজাল্ট করেছে তবে পুরস্কারের আওতায় আসে নাই, কেউ অকৃতকার্য হয় নাই।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন: হযরত মাওলানা হাফেজ তাহের সাঈদ দাঃবাঃ, মাওলানা ক্বাজী এরশাদ উল্লাহ্ দাঃ বাঃ।

পালং ছাত্র সংস্থার দায়িত্বশীল হিসেবে অনুষ্ঠান সফলে দায়িত্ব পালন করেন: মাওলানা নূর মোহাম্মদ, মাওলানা এম.ইলিয়াস, আব্দুল হামিদ, এম.জাহাঙ্গীর রফিক, হাফেজ বশির আহমদ, মাওলানা আব্দুল গফুর, মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন, মোঃ আব্দুস সালাম, মুহাম্মদ আলম, মুহাম্মদ ইউনুস।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অত্র অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়েকেরাম, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মুহতামিমগণ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণ শেষে মাওলানা হাফেজ ফরিদুল আলম তৌহিদীর মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষনা হয়।