সিবিএন ডেস্ক:
কেমন আচরণ করবে গোলাপি বল, তা নিয়ে মিশ্র ভাবনা আছে বাংলাদেশ-ভারতের ক্রিকেটারদের। উইকেটে পড়লে কতটুকু টার্ন করবে বা বোলাররা কতটুকু সাহায্য পাবেন- এমন সব প্রশ্নও আছে। ভারতীয় বোলাররাই যেমন বলছেন এই বলে রিভার্স সুইং মিলবে না। তাদের কথার সঙ্গে আবার একমত নন পশ্চিমবঙ্গ ক্রিকেটের প্রধান কিউরেটর সুজন মুখার্জি। তার ভাষ্যমতে, বোলারদের দক্ষতার উপর নির্ভর করবে বলের সুইং-টার্ন।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে সুজন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় গোলাপি বলটা ঠিকই আছে। সবরকম চাহিদা ও শর্ত মেনেই ইডেন টেস্টের জন্য এ বলটা বানানো। অন্য বিশেষজ্ঞরা কী বলেন জানি না, তবে আমার চোখে এ বল ঠিক আছে।’

টেস্টে ব্যবহারের আগে পরীক্ষামূলক ভাবে গোলাপি বলের ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এ কিউরেটর। তাতে ফলটা ইতিবাচক বলে মনে হয়েছে তার।

‘বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী ১৫দিন আগে থেকেই মূল পিচ ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। তবে আমরা পাশের উইকেটে গোলাপি বল ব্যবহার করেছি। তখন বলের পারফরম্যান্স আমাদের খুশি করেছে। বোলাররা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানলেই আমার মনে হয় উপভোগ্য একটা টেস্ট দেখতে পাবো।’

কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে আঘাতের ছাপ রেখে গেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। যার আঘাত সইতে হয়েছে ইডেন গার্ডেনসকেও। এই কারণে গোলাপি বলে পরীক্ষামূলক প্রয়োগটা দেরিতে হয়েছে বলে অনুযোগ সুজনের।

‘ঘূর্ণিঝড়টা আমাদের কাজ ১০দিন পিছিয়ে দিলো। উইকেট পুরোটাই পানিতে ডুবে ছিল। খুব অল্প সময়ে উইকেটের কাজ সম্পূর্ণ করতে আমাদের অনেক চেষ্টা দিতে হয়েছে। আশা করি ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া টেস্টে ফলটা ভালোই মিলবে।’